close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

১/১১-তে পালাননি আমার নেত্রী খালেদা জিয়া”—গোপালগঞ্জে হুং'কা'র ড. রিপনের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিএনপির সম্মেলনে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “গণতন্ত্র থাকলে পালাতে হয় না, তাই ১/১১-তে খালেদা জিয়া দেশ ছাড়েননি।” শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “আপনার আসনে সঠিক ভোট দেখা..

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিএনপির উপজেলা ও পৌর শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন সরব ভাষণে বলেন, “আমার নেত্রী খালেদা জিয়া ১/১১-এর সময় কোনো চাপে দেশ ছাড়েননি। তাঁকে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তিনি দেশের মাটিতেই থেকে প্রমাণ করেছেন, গণতান্ত্রিক নেত্রী পালিয়ে যায় না।”

রবিবার (১ জুন) এই সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র থাকতে হবে মানুষের জীবনে। যে শাসক সত্যিকার অর্থে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হন, তিনিই জনগণের বিশ্বাস অর্জন করেন। আর যিনি জনগণকে তোয়াক্কা করেন না, তিনি ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকেন।” এই প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, “আপনি কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া আসনে কয়টা ভোট পেয়েছেন তা দেখান, যদি সঠিক ভোট দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে আপনার গোলামী করব। আর যদি না পারেন, তাহলে দেশের জন্য সরে দাঁড়ান।”

রিপনের দাবি, শেখ হাসিনা বৈধ প্রধানমন্ত্রী নন এবং গোপালগঞ্জ অঞ্চলের কিছু সুবিধাভোগী তাঁর হয়ে ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছে। “এটা কি নির্বাচন? এটা কি গণতন্ত্র?”—এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই আজকের সম্মেলনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, “আর কালক্ষেপণ নয়। আগামীকাল (২ জুন) বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসছেন, আশা করি সেই সংলাপ শেষে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।”

সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে, যা এ দেশের মানুষের মুক্তির সনদ।” তিনি বলেন, “মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে এই দফাগুলোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।”

সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মহিউদ্দিন। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

শামা ওবায়েদ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশের সংকটের সমাধান হবে না। বিএনপি যখন গুম, খুনের সময় সংস্কারের কথা বলেছিল, তখন তারেক রহমান ২৭ দফা দিয়েছিলেন, যা আজ ৩১ দফায় রূপ নিয়েছে। এটাই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রূপরেখা।”

Hiçbir yorum bulunamadı