
Rabiul Alam
|Subscribers
Liked videos
কুমিল্লার পাচথুবীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর উভয় পক্ষের সংবাদ সম্মেলন, মামলা প্রত্যাহার ও সমঝোতার আশ্বাস
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৫নং পাচথুবী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড় জ্বলা গ্রামে গত ১০ জুলাই ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৫নং পাচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ জহিরুল হক, এডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম সোহেলসহ উভয় পক্ষের ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম সোহেল বলেন, “গত ১০ জুলাই বড় জ্বলা গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, সেটিকে বিকৃতভাবে তুলে ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ ছড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে বিএনপির নবগঠিত কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রশিদকে জড়িয়ে যে বানোয়াট সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সঙ্গে বিএনপি বা এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি এখন উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের দিকে এগুচ্ছে এবং মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষই একমত হন যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে হবে এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলে একযোগে কাজ করবেন।
এটি স্থানীয় রাজনীতি ও সামাজিক পরিবেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমঝোতার একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হেযবুত তওহীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও জেলা কমিটির পরিচিতি সভা। শনিবার (১২ জুলাই) কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। এসময় সংগঠনের নেতারা শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণবিপ্লবের ঘোষণা দেন।
সংগঠনটির কুমিল্লা জেলার সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন।
তিনি বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২০০ কোটি। মোট ৫৭টি দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদেরও বিশাল ভাণ্ডার মুসলিমদের দখলে। এত বিশাল ভূখণ্ড, এত সংখ্যা ও এত ধন-সম্পদ থাকার পরও আমরা মুসলমানরাই এখন পৃথিবীর সবচাইতে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত গোলাম জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছি। ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, লেবানন, আফগানিস্তানসহ একের পর এক মুসলিমপ্রধান দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের টার্গেট হচ্ছে মুসলিম জাতি। তাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে বাংলাদেশের ওপরে। কারণ আমাদের দেশের ৯২ শতাংশ মোসলমান। আমাদের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই মানচিত্রের উপর আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান সবারই লোলুপ দৃষ্টি। এখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তারা সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ পেয়ে যাবে এবং নিজেদের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে পারবে।
উত্তরণের উপায় তুলে ধরে তিনি আরো বলেন,তাদের হাত থেকে বাঁচতে হলে একজন নেতার হুকুমে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাসূল সাঃ যেভাবে মদিনার মাটিকে রক্ষা করেছিলেন সেভাবে বাংলার মাটিকে রক্ষা করতে হবে। ঐক্যের সূত্র হবে লা-ইলাহা-ইল্লালাহ আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম মানিনা। আর আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের অবস্থাও গাঁজা বাসীর ভাগ্য বরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের সহ-সম্পাদক রাকিব আল হাসান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী ও ইসলাম বিকৃতির ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা ইবলিশের হাতে রাষ্ট্রীয় জীবন তুলে দিয়ে ব্যক্তি জীবনে ইসলাম পালন করছি। কিন্তু ইসলাম নিজেই একটা পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। কিভাবে রাষ্ট্র চলবে, কিভাবে অর্থনীতি চলবে, শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে তা কোরআনে রয়েছে। তবে আমরা সেটা রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠা না করে সওয়াব অর্জনের জন্য তেলাওয়াত করছি মাত্র। যে কারণে আমাদের সমাজ জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত হয়েছে। সর্বত্র অন্যায়,অবিচার, অত্যাচার, খুন, রাহাজনি চলছে। আর এরমধ্যে থেকে আমাদের ধর্মীয় নেতারা ফেরকা-মাজহাব নিয়ে মতভেদ ও রাজনৈতিক নেতারা সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে পড়ে রয়েছেন। তব বাস্তবতা হচ্ছে আল্লাহর হুকুম প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন সংস্কার বা নির্বাচন দিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
তিনি বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহর দেওয়া জীবন ব্যবস্থা ছাড়া মানব রচিত জীবন বিধান দিয়ে শান্তি আসবে না। হয় আপনার আল্লাহর দ্বীন কায়েম করে শান্তিপূর্ণ ভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। আর যদি সেটা না করেন তবে অচিরেই আল্লাহর মোমেন বান্দারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক গণবিপ্লব ঘটাবে।
কুমিল্লা জেলার নারী সম্পাদক সেলিনা আক্তার ইতির সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিভাগের সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া, কুমিল্লা অঞ্চলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নারী সম্পাদক জোবেদা আক্তার বেবী, কুমিল্লা অঞ্চলের নারী সম্পাদক আসমা আক্তার প্রমুখ।
কুমিল্লা জেলা হেযবুত তাওহীদের আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে জেলা কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ফটোসেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই স্মৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া
কুমিল্লায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মানে গুরুজন সম্মাননা
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল উচ্চ বিদ্যালয়, বাকশীমূল সিনিয়র মাদ্রাসা ও সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মানে গুরুজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫জুলাই) সকালে সকল প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে বাকশীমূল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ গুরুজন সম্মাননা আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে স্কুল মাঠ থেকে ঘোড়ার গাড়ি বহরে বাকশীমুল গ্রামের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাকশীমূল স্কুল মাঠে এসে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে।
এ সময় শিক্ষকদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বাকশীমূল উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু তাহের এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, বুড়িচং থানার সাব ইন্সপেক্টর রাকিবুল হাসান, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক ইমাম হাসান,বাকশীমূল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র নাজমুল হুদা সোহাগসহ অনেকে।
সভা শেষে ২৮ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে গুরুজন সম্মাননা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে প্রয়াতও হয়েছেন কয়েকজন। তাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেন সম্মাননা।
এ সময় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা বানিজ্য মেলায় ল*টারীর নামে অবৈ'ধ জু'য়ার আসর বন্ধের দাবিতে বি'ক্ষো'ভ মিছিল।
এতিম হাফেজ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষদের নিয়ে কুমিল্লায় একাত্তর টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি ।।
"সংবাদে সংযোগে আস্থায় বিশ্বাসে" এ শ্লোগানে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নগরের নূরে মদিনা মাদ্রাসার এতিম হাফেজ শিশুরা,,সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারের মেয়েরা ও কুমিল্লা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা অংশগ্রহণে কুমিল্লায় একাত্তর টেলিভিশনের ১৪বছর পদাপর্ণের কেক কাটার মধ্যদিয়ে একাত্তর টেলিভিশনের১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ১৩বছর পেরিয়ে ১৪বছর পদার্পনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন ,কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খানঁ ,মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ মোল্লা টিপু,বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার নূরে আলম ভূইয়া,মহানগর জামায়াত সহকারি সেক্রেটারী কামরুজ্জামান সোহেল।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী এনামুল হক এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ক্রীড়া সংগঠক মাহাবুবুল আলম চপল, মানবাধিকারকর্মী আলী আকবর মাসুম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসানসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যমব্যাক্তিত্ব ,স্থানীয় সা্ংবাদিক,সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশগঠনে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একাত্তর টেলিভিশন ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে শেখ জুয়েল নামের এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিএনপি কর্মী ওয়াইফাই ব্যবসায়ী শেখ জুয়েল(৪৫) বাঙ্গরা গ্রামের শেখ বাড়ীর মৃত শেখ গোলাম সারোয়ারের ছেলে।
তার মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমার স্বামী ওয়াইফাইয়ের বিল কালেকশন করতে যায়। দুপুরের পরপরই খবর পাই যে আমার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
পরে থানায় গিয়ে আমার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। অনেক অনুরোধ করে তার সাথে দেখা করি। সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় আমার স্বামী আমাকে বলেছে যে আমি কিছু করিনাই। আমাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করো।
সন্ধ্যার পরে খবর পাই আমার স্বামীকে মুরাদনগর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার স্বামী আর বেঁচে নেই। পুলিশ আমার স্বামীকে মেরে ফেলছে।
নিহতের ছেলে শেখ সিহাব বলেন, বিনা অপরাধে পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলছে। আমার বাবাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যাপারেও পুলিশ আমাকে কিছু জানায়নি। আমরা হাসপাতালে গিয়ে বাবাকে মৃত দেখতে পাই।
নিহতের চাচাত ভাই বিএনপি নেতা শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই জুয়েলকে বাঙ্গরা বাজার থানার এস আই আল আমিন ধরে নিয়ে গেছে খবর পেয়ে রাত সাড়ে আটটায় কল দিয়ে জুয়েলের বিষয়ে জানতে চাই। তখন তিনি আমাকে মুরাদনগর হাসপাতালে আসতে বলে। হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাইকে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখেছে।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, রাত আটটা ৫০ মিনিটে ভিকটিমকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাকে মৃত দেখতে পাই।
এব্যাপারে জানতে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশু জুঁই হত্যার পুন:তদন্ত ও মুল অপরাধীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন।
বগুড়ায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ উপলক্ষে বড়াইগ্রামে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ চাই-এর
বগুড়ায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ উপলক্ষে বড়াইগ্রামে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ চাই-এর আহ্বায়ক মেহেদী হাসান নোমানের নেতৃত্বে প্রচার র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
গভীর রাতে আইভী কে আ'ট'ক করতে গিয়ে আইভীর সাথে চা-কফি খেয়ে খোশগল্পে পুলিশ কর্মকর্তারা
ইংরেজিতে কথা বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন এই রিক্সা চালক
বিস্তারিত বিবরণ:
বাংলাদেশের পোশাক সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে চলছে বিতর্ক। সাধারণ জনগণের মতে, পোশাকের স্বাধীনতা মানে দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলাকে অস্বীকার করা। অনেকেই মনে করেন, পোশাকের স্বাধীনতার নামে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, যা দেশের আদর্শ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। অন্যদিকে, কিছু মানুষ ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছেন, যেখানে সবাই নিজের ইচ্ছামতো পোশাক পরার অধিকার রাখে। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তরুণ প্রজন্ম ও রক্ষণশীল সমাজের মধ্যে মতপার্থক্য। এ নিয়ে আপনার মতামত কী?
ট্যাগ:
freedom of dress, dress code debate, Bangladesh culture, social values, tradition vs modernity, public opinion, conservative vs liberal, dress freedom controversy, moral policing, cultural identity, dress code in Bangladesh, freedom vs restriction, social norms, religious beliefs, youth opinion, ethical clothing, women's rights, personal freedom, modesty debate, dress policy
হ্যাশট্যাগ:
#freedomofdress #dresscodedebate #bangladeshculture #socialvalues #traditionvsmodernity #publicopinion #conservativevsliberal #dressfreedom #moralpolicing #culturalidentity #dresscodebangladesh #freedomvsrestriction #socialnorms #religiousbeliefs #youthopinion #ethicalclothing #womensrights #personalfreedom #modestydebate #DressPolicy
4o
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির পাশের একটি মাছের ঘেড়ে থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুনতি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনেরা। পরিবারের পক্ষ থেকে শিশু দুই জন পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ জানান, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশগুলো দাফনের জন্য পরিবার ব্যবস্থা গ্রহন করছে। শিশুদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন প্রাথমিক ভাবে দেখা যায় নি।
নিহত দুই শিশু হলো- গুনতি গ্রামের পূর্বপাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (৭) গুনতি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র এবং মো. মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাব্বির হোসেন মহিন (১০), সে গুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
পুলিশ ও নিহত শিশুদের পারিবার জানায়, আগেরদিন সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই তারা নিখোঁজ হয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান মিলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের একটি মাছের ঘেরে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে আশেপাশের লোকজনকে খবর দেন ঘেরের লোকজন। পরে শিশুদের স্বজন ও এলাকার লোকজন এসে ওই পুকুর থেকে দুই শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত জিহাদের মা জান্নাতুল ফেরদৌর জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালেও ছেলেটাকে বাড়ির পাশে খেলতে দেখে আমি বাড়ি ফিরতে বলি। সে আসে নাই। এরপর দুপুরের দিকে মহিনের মা এসে মহিনকে খোঁজে। না পেয়ে পরে আমরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাদেরকে পাই নাই। আজ সকালে শুনি মহিন আর আমার ছেলের লাশ পানিতে পরে আছে।
নিহত জিহাদের বাবা রুবেল হোসেন জানান, তারা কিভাবে মারা গেছে কেউ জানে না। গতকাল খেলাতে গিয়ে তারা দুই জন ফিরে আসে নি।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনিন সুলতানা বলেন, কুমিল্লার লাকসামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ভোরে খবর পেয়ে আমরা গুন্তি গ্রামের মাছের ঘেড়ে পুলিশ পাঠিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে থানায় এনেছি। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুইটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। তাঁরা সবাইকে বের করে পরে বিভিন্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর নিজ ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবন তালা এবং ছয় দফা বাস্তবায়নে রুপরেখা না আসা পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দেন।
বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুমেক এর সকল কর্মচারীবৃন্দ।
বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের একদফা দাবিতে কর্মবিরতি করে আন্দোলন করছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সকল আউটসোসিং কর্মচারীবৃন্দরা।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে কুমেক ভবনের ফটকে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ১৫৩ জন আউটসোসিং কর্মচারীরা। কর্মচারীরা বলছেন -কুমেকে চতুর্থশ্রেনীর আউটসোসিং কর্মচারীরা দীর্ঘ ৭,৮ মাস যাবত বেতনভাতা পাচ্ছেন না। তাদের দাবী চাকুরীর নিশ্চয়তাসহ নিয়মিত বেতনভাতা দিতে হবে । একদফা একদাবি বকেয়া বেতন দিতে হবে,কেউ পাবে তো কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না, ২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শ্লোগানে প্রকম্বিত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
কর্মরত সকল আউটসোসিং কর্মচারীবৃন্দরা।
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনায় আওয়ামী লীগের নেতা জহিরুলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী। রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে নিউ মার্কেট এর চতুর্থ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান শামছুল আলম সুমন নামে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগে সুমন জানান- তিনি একজন সৌদি আরব প্রবাসী। প্রায় দুই বছর আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে পরিবার নিয়ে মেঘনার সোনারচর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন তিনি। ভুক্তভোগী সুমন জানান- গত ২৮ জানুয়ারী তার ফুফাতো ভাই মোহাম্মদ বশীর উল- আলম এর নিকট হতে ১২৫৪ দাগে অর্থাৎ হালে ২৬৬০ এর ১৬ শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয় তিনি। অন্যদিকে তার বাবা মৃত মমতাজ উদ্দিন এর একমাত্র ছেলে সন্তান হিসেবে পৈত্রিক সূত্রে ১২৭৮ দাগে অর্থাৎ হালে ২৫৮১ এর ২৩ শতক ও ১৪৫১ দাগের অর্থাৎ হালে ২৬৫৮ এর ৮ শতক জমির মালিক হন তিনি। কিন্তু তার বাবা কিছুদিন আগে সৌদি আরবে হজ্জ্বে গিয়ে ইন্তেকালের পর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শম বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খন্দকার (৫০) আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। উক্ত চাঁদার টাকা আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমাকে এলাকায় বসবাস করতে দেবে না বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে হুমকি ধামকি দেয়। গত ৫ আগষ্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলামের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি। এই নেতা এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে এখনো আটক করেননি। এলাকার আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দালাল এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক মেঘনার সোনারচর এলাকার ছাত্তার বেপারীর ছেলে আলমঙ্গীর হোসেন (৪০), মৃত সুন্দর মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০), মৃত কালাইয়ের ছেলে আমির হোসেন (৪৮), শুক্কুর আলীর ছেলে কফিল উদ্দিন (৫০) ও মৃত নান্নু পাঠানের ছেলে মাজহারুল পাঠান (৫২) গত এক সপ্তাহ আগে সেই চাঁদার টাকার জন্য আবারো চাপ দেয়। আমি তাতেও কোন সাড়া না দেওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমার জমি দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ওই ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী শামছুল আলম সুমন (৪০) কুমিল্লার মেঘনা থানাধীন ৬নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সোনারচর এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
মোঃ রবিউল আলম, কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিকসহ নানা আয়োজনে চলছে বর্ষবরন।
সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার,পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমেদ খাঁন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, জামায়াতের সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমানসহ অন্যরা।
পরে র্যালী শেষে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পহেলা বৈশাখ ঘিরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা প্রেসক্লাব, সচেতন সাংস্কৃতিক ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এদিকে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে তিনদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা। নগরীর রাজগঞ্জ এলাকায় চলছে দুদিন ব্যাপী মাছের মেলা।
কুমিল্লায় অবৈধভাবে বালু দ্বারা পুকুর ভরাট করার অপরাধে ভরাটকৃত বালু জব্দ করে তা প্রকাশ্যে প নিলামে তুলেছেন জেলা প্রশাসন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলাধীন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর মৌজার বালুতুপা গ্রামে এ নিলামের আয়োজন করেন আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান।
এ সময় আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে তুলা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রায়হান মোশেদ, উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী আবু বকর চৌধুরী।
এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান সাংবাদিকদের জানান- বালুতুপা নামে এই এলাকায় একটি শতবছরের পুকুর ছিলো। যেটি একটি কুচক্র মহল বালু দ্বারা ভরাট করে ফেলেছে। তারই পেক্ষিতে আমরা মোবাইল কোট পরিচালনা করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও এখানে কয়েকবার আসা হয়েছে। এখানে যে বেআইনিভাবে বালু দিয়ে পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। তা আমরা জব্দ করেছি। যা আজকে প্রকাশে নিলামে তুলা হয়েছে। সেই অথ সরকারি কোষাগারে জমা হবে। অভিযানটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সম্পূণ করা হয়েছে। আমরা পুনরায় এ পুকুরটি খনন করে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। যারা এ ধরণের কাজে জড়িত থাকবে, তাদের জন্য আমাদের ম্যাসেজ - যারা এভাবে পুকুর ভরাট করবে, তারা কেউই ছাড় পাবে না। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন রয়েছে, তা খুবই কঠোর। সেই পেক্ষিতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইলিয়াসের নেতৃত্বে একটি পুলিশের টিম ও সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম এ কাজে সহায়তা করেন।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলাধীন দূর্গাপুর ইউনিয়নস্থিত আড়াইওরা সার্বজনীন কালী বাড়ি ও মহাশ্মশানে শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী শ্মশান ঘাট সংলগ্ন গোমতী নদীতে অষ্টমী স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়- পাপ থেকে মুক্তি ও পুণ্য লাভের আশায় বিকেল হতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ত্রিপুরা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ স্নানোৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন শ্মশান ঘাটে। স্নানোৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীদের পদচারণার সাথে ঢাক, ঢোল আর কাঁসার বাড়িতে মুখরিত হয়ে ওঠে আড়াইওরা কালী বাড়ি ও শ্মশান ঘাট।
আগত পুণ্যার্থীরা জানায়- পাপ থেকে মুক্তি, পুণ্য লাভ ও মঙ্গল প্রার্থনা কামনায় মন্দিরে পূজা-অর্চনা শেষে গোমতী নদীতে স্নান করে "হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য, আমার পাপ হরণ করো"- এই মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান-দুর্বা, হরিতকী, আমপাতা, কাঁচা আম, ডাব ও কলা ইত্যাদি পিতৃকুলের উদ্দেশ্য তর্পণ করেন। যেসব ভক্তরা পূর্ণতীর্থভূমি লাঙ্গলবন্দ যেতে পারেননি সেসব ভক্তরা গোমতী নদীতে স্নান করে পাপ মোচনের জন্য সমাগম হয়। ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রত্যক্ষ করা যায় ভক্তদের মধ্যে। কেউ কেউ মন্দির প্রাঙ্গণে মোমবাতি, ধূপ কঠি জ্বালিয়ে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মনস্কামনা পূরণ করার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন। দূর দুরান্ত হতে এসেছে বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা।
নবযুগ ডাইরেক্টর পঞ্জিকা অনুসারে গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত-রাত ০২টা ৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড গতে অষ্টমীর স্নানোৎসবের লগ্ন আরম্ভ আর লগ্ন শেষ শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত-রাত ১২টা ৫১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে বিহীত পূজার মাধ্যমে। লগ্ন শুরুর পরই শ্মশান ঘাটে পুণ্যার্থীর ঢল নামে। ওই অষ্টমী স্নানে ভক্ত ও পুণ্যার্থীর উপস্থিতি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
স্নানোৎসবকে ঘিরে মন্দিরের দুপাশে মেলা বসেছে। মেলায় কারুপণ্য, মৃৎশিল্প ও বাহারি খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন জিনিসের পসরা বসে। মেলায় সকল ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লা আড়াইওরা সার্বজনীন কালী বাড়ি ও মহাশ্মশান ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার পাল বলেন- গত শুক্রবার বিকেল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ স্নানোৎসবে যোগ দিতে জড়ো হন স্নান ঘাটে। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও সাধু সন্ন্যাসীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে আড়াইওরা কালী বাড়ি ও শ্মশান ঘাট।
ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায়ও স্বস্তি কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবিরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কোনো ভোগান্তি না থাকায় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে স্বাচ্ছন্দ্যেই ফিরছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
তবে কুমিল্লার ৩টি বাস টার্মিনালসহ জেলার মহাসড়কের পাশে বাসে ওঠতে দীর্ঘ ক্ষণ পরিবার পরিজন নিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাড়িঁয়ে দেখা গেছে। মহাসড়ক অন্যদিনের তুলনায় ছিল ফাঁকা। নিজ কর্মস্থল বা নিকট আত্নীয়র বাড়িতে যেতে বাস টার্মিনালগুলো ভীড় ছিলো লক্ষণীয়।
বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন,ভোর থেকেই ঈদ শেষে নিজকর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কুমিল্লাবাসী। আগামী কয়েক দিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে ঢাকা থেকে বাস অনেকটা খালি অবস্থায় ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রীরা বলছেন প্রশাসনের তাৎপরতায় এবার ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।বিভিন্ন বাস সার্ভিসের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার ১০৫কিলোমিটার মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি হটস্পট এলাকাগুলোতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্য, হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা।