Shorts News Create

গতকাল সাবেক প্রধান বিচারপতি জনাব খাইরুল হক সাহেবের মামলার শুনানির এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ডিএজি এডভোকেট রাসেল কোর্টকে ধমকের সুরে জানান— “আজ শুনানি হবে না, এক সপ্তাহ পরে করতে হবে।”
এ সময় খায়রুল হক সাহেবের পক্ষের আইনজীবীগণ— কামরুল হক সিদ্দিকী, মহসিনুর রহমান, জেড আই খান পান্না, এম কে রহমান, মনসুরুল হক চৌধুরী, মঞ্জিল মোর্শেদ প্রমুখ আপত্তি জানিয়ে বলেন— “আপনি কোর্টকে ডিকটেট করতে পারেন না, আপনার সাবমিশন দিতে পারেন।”
ঠিক তখনই এজি জসিম, ইব্রাহিম খলিল, উজ্জ্বলসহ কয়েকজন বেঞ্চ থেকে লাফিয়ে উঠে বিচারপতির সামনেই আইনজীবীদের ওপর চড়াও হন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্তা, এমনকি আইনজীবী বেলায়েত হোসেনকে মারধোর পর্যন্ত করা হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বিচারপতি বাধ্য হয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে পরবর্তী রবিবার ধার্য করেন।
এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়— রাষ্ট্রপক্ষ আগে থেকেই কিছু “আইনজীবী” নামধারী মব সন্ত্রাসী নিয়োগ দিয়েছে, যাদের ভয়ে সাধারণ আইনজীবী থেকে শুরু করে বিচারপতিরাও হামলা ও হেনস্তার শঙ্কায় থাকেন। ইতিপূর্বে বিচারপতিকে ডিম নিক্ষেপ ও এজলাস ভাঙচুর-এর ঘটনাও ঘটেছে। এখন তো প্রকাশ্য আদালতে সিনিয়র আইনজীবীরাও নিরাপদ নন।
বর্তমানে বিচারালয়ে বিএনপির এই অসভ্য আচরণই বলে দেয় কেন এদেরকে এতদিন কড়া শাসনে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা!
এস.এম হাসিবুল হাসান হাদী
আই নিউজ বিডি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের লাইনম্যান আবু সাইদকে (৬০) হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে
হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের কালাইগাড়ি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু সাইদ উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের রেলগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গভীর নলকূপে লাইনম্যান ও পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবু সাইদ। রাতেও নিয়মমতো দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভোরে ফোনে যোগাযোগ করে না পেয়ে নলকূপের ঘরে গিয়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।