شارٹس بنانا


চাঁদপুরের কচুয়া বিশ্বরোডে তৃপ্তি হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় দৈনিক নতুন আশা পত্রিকার তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির ভাষণে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কচুয়া পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলাল চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ আপনারা আমার ও আমার উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেকোনো তথ্য নির্দেশ তুলে ধরবেন। তবে সংবাদ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই করে দেখবেন সত্য ঘটনা তুলে ধরবেন। তিনি আরো বলেন, আমি কচুয়া আসার পর কচুয়া সার্বিক উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এক বছরে কি কাজ করতে পারলাম আমরা জনসাধারণের সামনে তা তুলে ধরব। সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর নতুন আসা পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য রাখেন। নতুন আসা পত্রিকা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকাশ মিয়াজীর সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি প্রফেসর এমদাদুল্লাহর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সরকারি কমিশনার ভূমি পাব নাসির, কচুয়া থানা ওসি আজিজুল ইসলাম,শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম,কচুয়া কন্ঠের সম্পাদক হাবিবুল্লাহ হাবিব, কচুয়া প্রেসক্লাব সভাপতি আতাউল করিম, সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম সিকদার, আবুল হোসেন প্রমুখ।

চাঁদপুরের কচুয়া ৩৮ টি পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা সার্বজনীনভাবে উদযাপন করছে কচুয়ার হিন্দু সম্প্রদায়। বুধবার ১ অক্টোবর কচুয়ার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহসিন উদ্দিন, সেনাবাহিনীর ল্যাপটেন্যান্ট কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন , চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল রকিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলাল চৌধুরী, ওসি আজিজুল ইসলাম, বিএনপি মোশারফ গ্রুপের সেক্রেটারি মনজুর আলম সেলিম, পৌর সভাপতি হাবিবুল্লাহ হাবিব, বিএনপির মিলন গ্রুপের সমন্নয়ক শাহাজালাল প্রধান, বিএনপির আরেক গ্রুপের কচুয়া থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, জামায়াত ইসলামী কচুয়ার পৌর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ জাকিরুল্লাহ শাজুলী, আট নাম্বার ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা আরিফ হোসেন, জামাতের পৌর নেতা শহিদুল ইসলাম খানসহ মুসলিম ও হিন্দু সম্পরদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কোয়া পোদ্দার বাড়ি পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক প্রিয়তোষ পোদ্ধারের পরিচালনায় পূজা মন্ডপে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পূজা মণ্ডপ কমিটির সেক্রেটারি তমাল ঘোষ, পূজা মন্ডপের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে সাদা পোশাকে রয়েছে এন এস আই, আনসার ভিডিপি, ডিবি পুলিশ সেনাবাহিনী ও সার্বিক পরিস্থিতি তদারকিতে টহলরত রয়েছে রেব। জেলা প্রশাসক মহসিন উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপকে এবার সিসি ক্যামেরা আওতায় আনা হয়েছে এবং বিদ্যুতের কোন সমস্যা যেন না হয় সেজন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাঁদপুরের প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে আমি পরিদর্শন করে দেখেছি এখানে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই একত্রিতভাবে সর্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপনে একে অপরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে আমাদের আসন্ন দূর্গা পূজার হুমকির কথাগুলো তুলে ধরেছিলেন আমরা আশা করব কচুয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই দুর্গাপূজায় অনন্ত নজির স্থাপন হয়েছে সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ববন্ধন তৈরি হয়েছে সকল রাজনৈতিক দলগুলো সঙ্ঘবদ্ধভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজা উদযাপন করতে সহযোগিতা করেছে এই বিষয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে সবার দৃষ্টিতে আনার জন্য সাংবাদিকবৃন্দকে অনুরোধ জানান।

পাবনা শহরে বৃষ্টি বিলাস
পাবনার আকাশে যখন বাদল নামে, শহর যেন এক নতুন রূপে সেজে ওঠে। রিকশার ছাতার নিচে চুপচাপ বসে থাকা মানুষ, চায়ের দোকানে ধোঁয়া ওঠা কাপে জীবনের যত কথা—সব মিলিয়ে এক নিঃশব্দ আনন্দে শহরটা যেন ভিজে যায়। শহরের পুরাতন মসজিদ আর চারুকলার পুকুরঘাটে বৃষ্টির ফোঁটায় পড়ে এক অপূর্ব শব্দজাল বুনে দেয় প্রকৃতি।
শালগাড়িয়ার পথ, কলেজ মোড়, অথবা টাউন হল—যেখানেই চোখ যায়, বৃষ্টির ছোঁয়ায় মানুষ যেন নিজের ভেতরের ক্লান্তি ধুয়ে ফেলে। তরুণ-তরুণীদের ভেজা হেঁটে যাওয়া, বৃষ্টিতে শিশুদের উল্লাস, আর ভিজে যাওয়া কাঁথা মোড়ানো বৃদ্ধার জানালায় চেয়ে থাকা—সব মিলিয়ে এক বৃষ্টিমগ্ন চিত্রপট তৈরি হয়।
পাবনার বৃষ্টি যেন শুধুই ভেজায় না, মনে জমে থাকা পুরোনো স্মৃতিগুলোও জাগিয়ে তোলে। কারো কাছে তা প্রেমের প্রথম চিঠির মতো, কারো কাছে হারানো সময়ের গন্ধ।
এটাই তো পাবনা শহরের বৃষ্টি বিলাস—নিঃশব্দে অনুভবের জলছবি।