
Md Shahidul Islam
|Subscribers
Breaking news
পর বান্দরবান জেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।তাই এবারের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন কে ঘিরে উৎসাহের কমতি ছিলো না সমিতির সাধারণ সদস্য থেকে শুরু করে জনসাধারণের মাঝে।
দীর্ঘদিন পরে বান্দরবান জেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটাররা সকাল থেকে কার্যালয়ের সামনে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।এতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।
শনিবার (১০ই মে) সকাল ৯ টায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আর্মি পাড়ায় সমিতির জেলা কার্যালয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে চ হ্লা প্রু জিমি ও সহ-সভাপতি পদে জামাল উদ্দিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (আনারস), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় মোহাম্মদ কাউছার আলম (প্রজাপতি), কোষাধ্যক্ষ পদে ৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (বাস), দপ্তর সম্পাদক পদে ৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (আম), ক্রীড়া, সাহিত্য সাংস্কৃতিক, প্রচার ও সমাজ কল্যাণ পদে ৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মোঃ জামাল, এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে ৪জন যথাক্রমে আব্দুল্লাহ আল আরমান ৭৯ ভোট, জাহেদুল ইসলাম আসিফ ৭৫ ভোট, আবু বক্কর ৬৬ ভোট ও মোঃ শামীম হোসেন ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ২ জন, ক্রীড়া, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, প্রচার ও সমাজকল্যাণ পদে ২জন এবং নির্বাহী সদস্য হিসেবে ৭ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ করেন।
সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বান্দরবান সদর সমাজসেবা অফিসার সত্যজিৎ মজুমদার নির্বাচন পরবর্তী ফলাফল ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, বান্দরবান জেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪১ জন এবং মোট গৃহীত ভোটের সংখ্যা ১২৬ জন।
বান্দরবানের রুমায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে,ঘটনার সময় বাড়ির মালিক বাড়িতে না থাকায় ভিতরের কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে মালিক উক্যথোয়াই মারমা।এতে তার প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী।
শনিবার (১০ই মে) উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়নে নিয়াংক্ষং পাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।সকাল ৭ টার দিকে সোলার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার দিন ভুক্তভোগী উক্যথোয়াই মার্মা ও তার স্ত্রী ঘর বন্ধ করে চাষাবাদের জন্য জুম ক্ষেতে কাজ করতে চলে গেলে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উক্যথোয়াই এর বাড়ি থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। জ্বলতে থাকা আগুনের শব্দে পার্শ্ববর্তী বসত বাড়ি থেকে লোকেরা ঘুম থেকে জেগে উঠেন।
এদিকে রুমা মুননুয়াম ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী ৩৬বীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন। সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়দের তৎপরতায় আগুন পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়াতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনী, স্থানীয় লোকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হলেও ঘরের মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রুমা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ আলমগীর জানান উপজেলার দুর্গম নিয়াংক্ষং পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শোনার পর আমাদের পেট্রোল টিম ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আদনান চৌধুরী'র মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সুপ্রীম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয়,বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান,জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম-৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা সহ বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দুই দুই দফা দাবিতে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, বান্দরবান জেলা শাখা।
সোমবার (৫ই মে) বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত কর্মচারীরা নিজ নিজ আদালত চত্ত্বরে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালন করেন।
এসময় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান বলেন ২০১৮ সাল থেকে দাবী বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রিয় কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবী তোলা হয়েছে, দাবীর বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচনায় দাবী বাস্তবায়নে আশ্বাস প্রদান করা হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তিনি বলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সাথে গত ১২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করে দুই দফা দাবী উত্থাপন করলেও অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন কর্তৃক জমাকৃত প্রতিবেদনের সুপারিশে অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসাবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতাদি প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি।
এসময় তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দুই দফা বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে আজ এ কর্মবিরতি পালনে বাধ্য হয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, বান্দরবান জেলা শাখার, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রধান উপদেষ্টা সামির হোসাইন,উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যগণ, কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী।