ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
شارٹس بنانا
কালীগঞ্জ উপজেলাধীন ১নং ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মাস্টারের বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা,কাবিটা, উন্নয়ন সহায়তা তহবিল, হাট-বাজার, এডিপি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আদায়কৃত ট্যাক্স, সব ধরনের ভাতা, যেমন-মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল কাজে স্বেচ্ছাচারিতা করে নিজের ইচ্ছেমতো পরিষদের কাজ পরিচালনা করার অভিযোগ ওঠেছে। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি হয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ। আজ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্যগণ সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই আবেদনটি করেন। আবেদনকারী সদস্যগণের মধ্যে
০১। মোঃ জয়নাল আবেদীন বাবলু- ওয়ার্ড নং ৫
০২। মোছাঃ রশিদা বেগম-ওয়ার্ড নং ১, ২ ও ৩
০৩। মোছাঃ শিউলি বেগম-ওয়ার্ড নং ৭, ৮ ও ৯
০৪। মোছাঃ বুলবুলি বেগম-ওয়ার্ড নং ৪. ৫ ও ৬
০৫। মোঃ আহেদুল ইসলাম-ওয়ার্ড নং ১
০৬। মোঃ হজরত আলী -ওয়ার্ড নং ২
০৭। মোঃ গোলজার হোসেন বসুনিয়া -ওয়ার্ড নং ৩
০৮। মোঃ আব্দুর রহিম-ওয়ার্ড নং ৪
০৯। মোঃ আসাদুল হক-ওয়ার্ড নং ৬
১০। মোঃ আব্দুল মজিদ -ওয়ার্ড নং ৭
১১। মোঃ শাহেদুল ইসলাম (আরাম) -ওয়ার্ড নং ৮
১২। মোঃ সামছুল হক-ওয়ার্ড নং ৯
একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টির মূল কারণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগির কমবেশিকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা শেষপর্যন্ত অনাস্থা আয়নের মতো প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো। আরও বেশ কিছু ভিডিও আমাদের হাতে সংরক্ষিত আছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ফরহাদ হোসেন মাস্টার আফজাল উদ্দিন পাবলিক ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পাশাপাশি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। তারপর তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাকে ভোট কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেওয়া হয়। তিনি সহ তার অনুসারীরা হামলা-মামলার শিকার হন। এরপর তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ২০১৮ সালের পর তিনি জাতীয় পার্টি থেকে আবারও বিএনপিতে যোগ দেন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগ আমলে তিনি ইউপি সদস্যদের কাছে কোণঠাসা হয়ে সুন্দরভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের পর তিনি স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বেপরোয়া হয়ে যান। কাউকেই তোয়াক্কা না করে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিশাল ক্ষমতাধরের অধিকারী এই চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা তৈরি করে বিএনপির ত্যাগী নেতাদের দূরে ঠেলে দেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগে স্বাক্ষর করার কথা জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে ফরহাদ হোসেন মাস্টারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের দাবি করেন।
এ বিষয়ে ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
আবেদনের কপিটি দেওয়া হলো।
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,
১১ জুন ২০২৫:
কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং বাজার
ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুল আলমকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার
ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল দশ টায় ধুরুং বাজার সড়কে স্থানীয় ব্যবসায়ী
ও জনসাধারণের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বাজার কয়েক শতাধিক
ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ধুরুং বাজার
ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন আল আজাদ। সমাবেশে
বক্তারা বলেন, “ব্যবসায়ী নেতাকে প্রকাশ্যে মারধর করার মত ঘটনা
কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে
হবে।”
বক্তারা আরও জানান, যদি
দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে পরবর্তী
সময়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী
জানানো হয়, যাতে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।




