Calção Crio

বাহুবলের মহাশয় বাজারে আবারও চুরি: বাজার কমিটির তৎপরতায় চোর শনাক্ত
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুর দক্ষিণ এলাকার মহাশয় বাজারে আবারও সংঘটিত হয়েছে চুরির ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে রাতের আঁধারে দোকান চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছিল।
সবশেষ চুরির ঘটনা ঘটে ‘রুবেল স্টোর’-এ, যেখানে দুর্বৃত্তরা দোকানের টিন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নগদ অর্থ এবং অন্যান্য মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। দোকান মালিকের অভিযোগ অনুযায়ী, চুরি রাতের বেলায় সংঘটিত হয় এবং ঘটনার পরপরই বাজারে সন্দেহভাজন কয়েকজনের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
বাজার পরিচালনা কমিটির সক্রিয় তৎপরতায় ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) চোরদের বাজার কমিটির কাছে আত্নসমর্পন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া মাহমুদপুর এলাকায় উঁচু ভিটার মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় শ্রমিক দলের নেতা কর্তৃক দুই শিক্ষকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। দুপুরে
ভালুকা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী বিরুনীয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মকবুল হোসেন বলেন , মাহমুদপুর গ্রামে পৈতৃক উঁচু ভূমিতে বাগান এবং ফসলী জমি থেকে বিরুনীয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আশিকুর রহমান রিগানের নেতৃত্বে মাটি কেটে নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। গত ৬ মার্চ মোঃ মনিরুজ্জামানকে ভালুকা পৌর এলাকার মেজরভিটা থেকে ধরে নিয়ে সাবেক এক চেয়ারম্যানের বাসায় নিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে ৮ মার্চ রাতে রিগান ও জ্বন সহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা করে। এতে মনিরুজ্জামান ও তার মা সখিনা আক্তার আহত হন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী বালিঝুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন জানান, রিগান ও জন ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা তাদের ভয়ে জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।

মাত্র ১৮ বছর বয়স—জীবনের শুরু, স্বপ্ন গড়ার সময়। অথচ এ বয়সেই এক তরুণ এমন এক নির্মম সিদ্ধান্ত নিল, যা ভাবলেও হৃদয় কেঁপে ওঠে। আত্ম*হত্যা—এটা কোনো সমাধান নয়, বরং এক চরম পরিণতি। কিন্তু কী এমন কষ্ট ছিল তার জীবনে, যা তাকে এত বড় এক নিকৃষ্ট পথ বেছে নিতে বাধ্য করলো?
ছেলেটির বাবা নেই। পরিবারে ছিল শুধু মা ও এক বোন। সংসারের বড় সন্তান হিসেবে হয়তো দায়িত্বের ভারটাই বেশি অনুভব করতো। কে জানে—কোনো চাপ, অপমান, হতাশা বা অভাব তাকে ভিতর থেকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে, যার বোঝা সে আর বহন করতে পারেনি।
সে নিজের জীবনটা শেষ করে দিলো ঠিকই—কিন্তু পেছনে রেখে গেলো এক অসহায় মা, যার বুকটা আজ ফেটে চৌচির, আর এক ছোট বোন, যার ভরসার একমাত্র মানুষটাকেও কেড়ে নিলো এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সে নিজের জীবন দিয়ে নিজের প্রিয়জনদেরও যেন জীবন্ত লাশ বানিয়ে গেলো।
জানি না, কী সেই অজানা কষ্ট, কিন্তু এটুকু জানি—কাউকে হারানোর ব্যথা সারা জীবনের জন্য রয়ে যায়। জীবন যতই কঠিন হোক, বেঁচে থাকার লড়াইটাই সবচেয়ে বড় সাহস। কেউ যদি আগে পাশে দাঁাতাতো, একটু বোঝাতো—হয়তো আজ গল্পটা অন্যরকম হতো।