বরিশাল নগরীর ধান গবেষণা সড়কে ভয়াবহ এক গণপিটুনির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সুজন। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে উত্তেজিত জনতার হাতে নিহত হন এই তরুণ, যিনি ওই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সুজন একই এলাকার এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ঘটনার পরপরই শিশুটির পরিবার থানায় মামলা দায়ের করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। উত্তেজিত জনতা প্রথমে তাকে গাছে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তারা গুরুতর আহত অবস্থায় সুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, "সুজনকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।"
এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, অন্যদিকে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিরবিচারে গণপিটুনি, নাকি ন্যায়ের দাবি? এই ধরনের ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার জন্য কতটা হুমকি? আপনার মতামত দিন!