উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের মরদেহ পরিচয় শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। না হলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে।
ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ শনাক্তকরণ ও হস্তান্তর নিয়ে সরকার বিস্তারিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যেসব মরদেহের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যাবে, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, তাদের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার, ২১ জুলাই, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান চালায় এবং তৎপরতার সঙ্গে মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর থেকে আহতদের চিকিৎসা বিষয়ক আপডেট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিজেই সরাসরি খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রতিটি রোগীর অবস্থার বিষয়ে তাকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তিনি প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে নির্বিঘ্ন রাখতে হাসপাতাল চত্বরে সাধারণ জনগণের অহেতুক ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রশিক্ষণ বিমানের এ ধরনের দুর্ঘটনা কেবল একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নয়, বরং জাতির জন্য গভীর শোকের বিষয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।
সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের প্রতি যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ শনাক্ত করা মাত্র তা যথা সময়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে যাতে তারা প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারে। ডিএনএ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ দল নিয়োজিত থাকবে এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে কারো অবস্থা পরিবর্তিত হলে দ্রুত চিকিৎসা ও আইসিইউ সুবিধা সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি একাধিক সংস্থা, including সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, সমন্বিতভাবে কাজ করছে। উদ্ধার কাজের পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উভয়ই ব্যয় করা হচ্ছে।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে গুজব না ছড়াতে এবং দায়িত্বশীলভাবে তথ্য শেয়ার করতে।