বগুড়ার দুপচাঁচিয়াতে নানান কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে য়থাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার ১৬ই ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতি অম্লানে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা প্রশাসন, দুপচাঁচিয়া পৌরসভা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, উপজেলা নেছকো অফিস,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি,আনসার ভিডিপি,উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অফিসার্স ক্লাব, দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, দুপচাঁচিয়া প্রেসক্লাব, উপজেলা প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দুপচাঁচিয়া উপজেলা কমিটি, বিভিন্ন স্কুল কলেজ এর শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী বৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন।
পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ফেস্টুন এবং কুচকাওয়াজ, অভিবাদন গ্রহণ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরুখ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম, দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আফজাল হোসেন,
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ,
রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়।
উক্ত মহান বিজয় দিবসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরুখ খান বক্তব্যে বলেন, আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এই দিনটি বাংলাদেশর স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এক ঐতিহাসিক গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায়। বাঙালি জাতির জাতীয় জীবনে এদিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে এই দিনে বাংলার অকুতোভয় মুক্তি যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশর মানচিত্রে সৃষ্টি হয় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। এইদিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গকারী, শহীদগণ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত যোদ্ধা এবং নির্যাতিত মা বোনদের। যাদের অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই মহান স্বাধীনতা।
এছাড়াও শহীদ সদস্যদের পরিবার ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।



















