সন্ধ্যার দিকে, ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে হামলার শিকার হন মাহফুজের বাবা, যিনি ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জু বাড়িতে আসছেন এমন খবর পেয়ে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। বাচ্চু মোল্লা হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে আহত হন এবং তাঁর হাতে আঘাত লাগে। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।
মেহেদী মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, "রাজনীতি করে কখনও কারও ক্ষতি করিনি, তারপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে এসে হামলার শিকার হতে হলো। আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজুর রহমান বাচ্চুর পরিবারের একজন সদস্য জানান, "বাচ্চু মোল্লা এখন ভালো আছেন এবং বাড়িতেই রয়েছেন।"
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, "বাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনে দুটি পক্ষ ঝামেলায় জড়ায়। আমি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু এক পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে আঘাত করে। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং পরে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।