তোমার অনুপস্থিতি
এ শহর—লাখো মানুষের পায়ের শব্দে গর্জে ওঠে,
আলোয় আলোয় ঝলসে ওঠে হেডলাইটের অসংখ্য চোখ,
চায়ের কাপে ঠোঁট ছোঁয়ায় কেউ, কেউ খোলে প্রেমের পুরোনো চিঠি,
তবু আমার নিঃশব্দে হারিয়ে যায় নিজস্বতার ঠিকানা।
তুমি নেই—এই ‘নেই’ শব্দটা এখন আমার ছায়া,
আমার আস্তানায় জমে থাকা তোমার অনুপস্থিতির ছায়া,
রাত বাড়লে, তোমার রুমের লাইট নিভে গেলে—
যেভাবে শহর গিলে ফেলে একা দাঁড়িয়ে থাকা আলো।
আমি প্রতিদিন হাঁটি, হেসে কথা বলি,
অফিসে যাই, দুচোখ দিয়ে অকারণে আকাশ দেখি—
তবু বুকের ভিতরে এক চাবুকের মত বাজে তোমার চুপ থাকা,
তুমি নেই—আর তাই কেউ নেই, কিচ্ছু নেই,
এই ভিড়টাই এখন এক দীর্ঘ নিঃসঙ্গতা।
যেমন ঘড়ির কাঁটা চলে, অথচ সময় থেমে থাকে,
যেমন বুকের গভীরে অনুরণন করে না বলা নাম,
মহল্লার অলিগলিসহ প্রতিটা মোড়ে আজ
তোমার অনুপস্থিতির হাহাকার।
কোটি মানুষের ভেতরেও, আমি খুঁজি
শুধু সেই এক মুখ—যার না-থাকাই
আমার সমস্ত থাকা কে পরাজিত করে দেয়।
তুমি নেই—এটাই আমার চরম উপস্থিতি।
তানভীর
০৪ আগস্ট ২০২৫
বিরহ নগর।



















