ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর বন্দরবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেল ৪টায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তিতাস নদীতে নৌকায় চলমান অশ্লীলতা, ডিজে সন্ত্রাস ও উচ্চ শব্দে গান-বাজনার বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। সমাবেশের আয়োজন করে পত্তন ইউনিয়ন ছাত্র উলামা পরিষদ।
এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বিজয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা সফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বশির আহমেদ। তাদের কণ্ঠে ঝরেছে ক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি—তিতাস নদী যেন আজ অনৈতিকতার অভয়ারণ্য। এখানে নৌকায় চলে অশ্লীল পোশাকে নৃত্য, ডিজে শব্দের বোমাবর্ষণ, আর এসব দেখে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম শিখছে বিকৃতি আর সীমালঙ্ঘন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, হামিদুল হক হামদু, মঞ্জুর আলী মেম্বার, মুফতি রহমত উল্লাহ কাসেমী এবং দারু মেম্বার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এটা শুধু ধর্মীয় অপমান নয়, বরং সামাজিক নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি আঘাত। পরিবার নিয়ে নৌকায় যাওয়া আজ লজ্জাজনক অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিকৃত আনন্দের ছত্রছায়ায় মাদক, নারী অবমাননা এবং অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
সমাবেশ থেকে সরাসরি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়—নদীতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করুন, ডিজে সাউন্ড ও নাচের নামে অশ্লীলতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করুন, অনুমতিহীন নৌকা ও অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন। স্থানীয় প্রশাসন ও থানা যেন কোনো অদৃশ্য চাপে নীরব না থাকে। না হলে জনতার হাতে জাগরণ অনিবার্য।
সমাবেশ পরিচালনা করেন পত্তন ইউনিয়ন ছাত্র উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন।
উপসংহারে, প্রশাসনের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়—তিতাস এখন শুধু নদী নয়—এটি নৈতিকতার লড়াইয়ের মঞ্চ। এই নদীর বুক যদি কলুষিত হয়, তাহলে সমাজের আত্মা আর পবিত্র থাকবে না। এই প্রতিবাদ সমাজের নাড়া, প্রশাসনের হুঁশিয়ারি, এবং সময়ের দাবি। তিতাসকে বাঁচাতে হলে, এখনই জেগে উঠতে হবে প্রশাসনকে। না হলে মানুষ রাস্তায় নামবে—শুধু ভাষায় নয়, কর্মে।
		
				
			


















