close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো এলাকা। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। বার্তাসংস্থা এএফপি চীনা গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এর প্রভাব বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত এবং ভুটানেও অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্যমতে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে হওয়ায় এর প্রভাব ছিল ধ্বংসাত্মক। চীনা সূত্রগুলো অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ বলে জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল নেপালের লবুশে থেকে ৯৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, তিব্বতের রিকাজে থেকে ১৬৩ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভারতের সিকিম থেকে ১৯০ দশমিক ৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ড্যামাকসং কাউন্টির গেদার শহর। এখানে হতাহতের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা পূর্ণমাত্রায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে সময় লাগবে। এদিকে ভূমিকম্পের প্রভাবিত এলাকায় বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
এই ভয়াবহ ভূমিকম্প পুরো অঞ্চলে ত্রাসের সঞ্চার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
コメントがありません