close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

থানায় মাতলামি, পুলিশকে খুনের হুমকি! যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার—চাঞ্চল্য ছড়ালো সিংগাইরে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশকে খুনের হুমকি দেন যুবদলের দুই নেতা। বিতর্কিত এ ঘটনার জেরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বহিষ্কার করেছে। হট্টগোল, হুমকি আর মাতলামির বিস্তারিত উঠে এসে..

সিংগাইর থানায় ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। থানায় ঢুকে মাতাল অবস্থায় পুলিশ সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এখন শিরোনামে যুবদলের দুই নেতা। বিতর্কিত এ ঘটনায় তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন—সিংগাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার (জীবন) এবং পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম

বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয় সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—নৈতিক স্খলনের অভিযোগে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নাসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন অনুমোদন করেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃতদের যেকোনো কর্মকাণ্ডের দায় ভবিষ্যতে যুবদল বহন করবে না। একইসঙ্গে, যুবদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকে তাদের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যোগাযোগ না রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 কী ঘটেছিল সেদিন?

সূত্র জানায়, শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সিংগাইর থানায় একটি মামলার আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন জীবন ও শফিকুল ইসলাম-সহ কয়েকজন ব্যক্তি থানায় প্রবেশ করে হট্টগোল শুরু করেন

পুলিশের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় দুই যুবদল নেতা ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। তারা একপর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ঘটনায় থানার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং তাৎক্ষণিকভাবে জীবন ও শফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।

পরে তাদের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে জামিনে মুক্তি পান দুই নেতা।

 দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর সিদ্ধান্ত

ঘটনার পরপরই যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে। দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় দ্রুত বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে। দলীয় সূত্র জানায়, ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড করলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিংগাইরের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ ঘটনাকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে এমন অপকর্ম কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।


রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে, দলীয় নেতা-কর্মীদের আচরণে আরও বেশি নজরদারি চালানো, যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে।

Keine Kommentare gefunden