close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

থানা ঘেরাও করে চাঁদাবাজদের ছিনিয়ে নিলো বিএনপি কর্মীরা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা ঘেরাও করে চাঁদাবাজদের ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপির কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আট পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।..

লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত বুধবার (২ জুলাই) দুই যুবককে এক মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, বেলাল ও সোহেল নামের দুই যুবককে পাটগ্রামের সরে অ-বাজার এলাকা থেকে এক লাখেরও বেশি টাকার রিসিভ মানিসহ আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পাটগ্রাম থানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, পাথর কোয়ারিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চলছিল। প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ ট্রাকে ৫০০-১০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হত।

বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে থানায় এসে পুলিশের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে বিএনপি নেতা চপলসহ ১৪-১৫ জন আহত হন বলে দাবি করা হয়। পুলিশ জানায়, হামলার সময় থানায় ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় এবং অন্তত ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, যিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক, এ ঘটনার পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে সূত্র জানায়। রাজিব প্রধান বলেন, ইজারাদার ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাক-বিতণ্ডার সূত্র ধরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানায় হামলার সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা বেশকিছু সরঞ্জামাদি নষ্ট করে দেয়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত থানায় পুনরায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে। এই সংঘর্ষ স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

Geen reacties gevonden