“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”—এই স্লোগানে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে ১০ দিনের বৃক্ষমেলা। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে চারা বিতরণ এবং ২৫টি স্টলে চলছে গাছের প্রদর্শনী ও বিক্রি।
“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলায় শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। সবুজের প্রতি ভালোবাসা এবং পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে আয়োজিত এ মেলাটি জেলার বাসিন্দাদের মাঝে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে।
রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে এই বৃক্ষমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে। সেখানে কেক কাটা এবং বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক নুরুন্নাহার, রেঞ্জ কর্মকর্তা তাছলিমা খাতুন, এবং ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিউল আলমসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়, যা তাদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া সুবিধাভোগী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।
বৃক্ষমেলাকে কেন্দ্র করে মেলা প্রাঙ্গণে ২৫টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত নার্সারি মালিকরা এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। তারা বিভিন্ন ধরনের বনজ, ফলজ, ঔষধি এবং শোভা বর্ধনকারী ফুলের গাছের চারা প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। এতে পরিবেশবান্ধব জীবনধারার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের মাঝে পরিবেশ ও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরা, পাশাপাশি নার্সারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করা। মেলাটি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন খোলা থাকবে, যাতে সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারে।
এই বৃক্ষমেলা কেবল গাছের প্রদর্শনী নয়, বরং একটি সচেতনতামূলক উদ্যোগ যা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এবং একটি সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।