ঠাকুরগাঁও রুহিয়ায় টাঙ্গন নদীতে নিষিদ্ধ রিং জালে মাছ নিধন ..

শাহাজাদ ইসলাম avatar   
শাহাজাদ ইসলাম
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া অঞ্চলের টাঙ্গন নদীতে নিষিদ্ধ 'চায়না রিং জাল' বা 'ম্যাজিক জাল' ব্যবহার করে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন চলছে।..

বর্ষার পানি জমা হতে না হতেই একশ্রেণির জেলে ও মাছ শিকারি টাঙ্গন নদী ও ব্যারাজের বিভিন্ন পয়েন্টে কারেন্ট জাল, ফিকা জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পোনা ও মা মাছ ধরছেন।

যেখানে মৎস্য আইনে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ ধরা বেআইনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, রুহিয়া থানাধীন উত্তর বঠিনা, চুয়ামনি, আসাননগর, টাঙ্গন ব্যারাজ, বড়দেশ্বরী, গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় নদী ও খাল-বিলে এই জাল পাতা হয়েছে। এই জালে কই, মাগুর, শিং, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, ডারকা, মলা, ঢেলা, শোল, বোয়াল, ফলি, চিংড়ি, টাকি, চ্যাং, চিতল, দেশি পুঁটি, সরপুঁটিসহ নাম না-জানা বহু প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, এই জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে নতুন পানিতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারছে না।

যার ফলে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। পোনা মাছও ধরা পড়ছে এই জালে। এভাবে অবাধে ডিমওয়ালা মাছ ও পোনা মাছ ধরলে মাছের অভাব দেখা দেবে। অবিলম্বে এই নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বন্ধ না করলে বিশেষ করে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ জানান, টাঙ্গন ব্যারাজে বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছ নিধনের বিষয়টি শুনেছি, ইতিমধ্যে অভিযান চলছে।

 

 

 

Комментариев нет


News Card Generator