অফিসে দীর্ঘদিন ধরে নেই কোনো এমবিবিএস ডাক্তার। ফলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ নানা দুর্ভোগ ও অসন্তোষের শিকার হচ্ছেন।
রোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এখানে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক না থাকায় সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসা নিতে এলেও শুধুমাত্র পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা বা উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তার পরামর্শে চালানো হয়
চিকিৎসা কার্যক্রম, যা অনেক সময় যথাযথ নয়। রুহিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা রশিদুল ইসলাম বলেন, “জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে আমার স্ত্রীকে এখানে নিয়ে আসি। কিন্তু এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় ঠিক মতো ওষুধ কিংবা পরামর্শ পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে যেতে হয়।”
আরেকজন রোগী সুমী আক্তার বলেন, “প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে, কিন্তু একজন ডাক্তার পর্যন্ত নেই। এটা দুঃখজনক।” জানা গেছে, রুহিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে একটি এমবিবিএস ডাক্তার পদের অনুমোদন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই পদটি শূন্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, “রুহিয়া একটি জনবহুল এলাকা।
এখানে প্রতিদিন শতাধিক রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে। একজন এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় মানুষ ঠিক মতো চিকিৎসা পায় না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও এখনও কোনো পরিবর্তন হয়নি।”রুহিয়ার মতো একটি জনবহুল অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক উপাদান হিসেবে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি।
রুহিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মোঃ হাবিব-উন-নবী বলেন, সরকার চিকিৎসক নিয়োগ দিলেই আমরা একজন এমবিবিএস ডাক্তার পাবো। ঠাকুরগাঁও জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুল বাসার মো: সায়েদুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, আমার জানামতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ৩ হাজার চিকিৎসক সরকার নিয়োগ দিবেন। এর পর ২ হাজার করে আরো ৪ হাজার মোট ৭ হাজার চিকিৎসক এ বছরই নিয়োগ হবে। তখন সুধু রুহিয়ায় নয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অন্ত:র্গত সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিতে পারবো।



















