এই বিশেষ উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উত্তর প্লাজায় হয়ে গেল বর্ণাঢ্য আয়োজন। সম্মান জানানো হলো দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেই গর্বিত পথচলার প্রথম অংশীদারদের—২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট খেলোয়াড়দের।
অনুষ্ঠানে সাবেক ক্রিকেটারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ স্মারক ব্লেজার। তুলে দেন বিসিবির ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন দলের সেই সময়কার কোচ ও ম্যানেজারও। সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের পর একে একে মঞ্চে উঠে আসেন ক্রিকেটাররা। অটোগ্রাফ দেন মঞ্চে রাখা একটি বিশেষ জার্সিতে এবং ফিরে তাকান পঁচিশ বছর আগের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর দিকে।
উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটারদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দ আর গর্ব। প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুল, যিনি আবার দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানও, পেয়েছেন প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। তিনিই লর্ডস থেকে পাওয়া সেই ঐতিহাসিক টেস্ট স্ট্যাটাসের ঘোষণা উদযাপন করেছিলেন বিসিবির দায়িত্ব নিয়ে। এবার তিনিই নেতৃত্ব দিলেন রজতজয়ন্তীর মূল উৎসবে।
অনেক আক্ষেপও ঝরেছে কিছু মুখে—দেশের টেস্ট ক্রিকেট কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছায়নি এখনো। তবে স্বপ্ন দেখে চলার কথা বললেন মোহাম্মদ রফিক, আল শাহরিয়ার সুমন, সানজারুল ইসলাম বিদ্যুতের মতো তারকারা।
দেশজুড়ে ঘুরে (খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম) আয়োজিত উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটল মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে—যেখানে নতুন করে স্বপ্ন দেখল বাংলাদেশ ক্রিকেট।