close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

তাসকিন-তানজিম সাকিবের তোপে ২৪৪ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তাসকিন-তানজিমের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ২৪৪ রানে গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। আসালাঙ্কার দুর্দান্ত শতরানও বাঁচাতে পারেনি দলকে।..

বাংলাদেশের বোলিং তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হলো শ্রীলঙ্কা। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের পেস আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারল না লঙ্কান ব্যাটাররা। যদিও একমাত্র শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কার লড়াই শ্রীলঙ্কাকে ভদ্রস্থ একটি স্কোর এনে দেয়—২৪৪ রান। কিন্তু তা বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেনি।

শুরুটা ছিল বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে। কলম্বোর উইকেট থেকে বাড়তি গতি ও বাউন্স আদায় করে নেয় বাংলাদেশের দুই তরুণ পেসার তাসকিন ও তানজিম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ধস নামিয়ে দেন তাঁরা। মাত্র ২৯ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিক দল।

প্রথম সাফল্য এনে দেন তানজিম সাকিব। এরপর দুই ওভার ব্যবধানে তাসকিন তুলে নেন দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। উইকেটের উৎসব শুরু হয়েছিল যেভাবে, সেটি ধরে রাখে পুরো ইনিংসজুড়ে। লঙ্কান ব্যাটারদের ঘুম হারাম করে তোলেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

তবে ব্যতিক্রম ছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। চাপের মুখে হাল ধরেন তিনি। প্রথমে কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে গড়েন ৬০ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে মেন্ডিসকে আউট করে এই জুটিটি ভেঙে দেন ওয়ানডে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। যদিও তিনি পুরো ইনিংসে কিছুটা খরুচে ছিলেন — ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট।

এরপর আবারও দলের পতন রোধে সামনে এগিয়ে আসেন আসালাঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে জনিত লিয়ানাগের সঙ্গে গড়েন আরেকটি কার্যকরী জুটি — ৬৪ রানের। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পারটাইম স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরিয়ে দেন লিয়ানাগেকে (২৯)। এরপর আর কেউই আসালাঙ্কার পাশে দাঁড়াতে পারেননি।

চরিত আসালাঙ্কা একপ্রান্ত আগলে রেখে নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১০৬ রানের এই দুর্দান্ত ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। তবে নবম ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় লঙ্কান ইনিংসের লড়াই।

শেষদিকে বাংলাদেশের বোলাররা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তাসকিন তাঁর অভিজ্ঞতা ও গতি দিয়ে ব্যাটারদের কাঁপিয়ে তোলেন। ৪ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। অপরদিকে তানজিম হাসান সাকিবও কম যাননি, দারুণভাবে ৩টি উইকেট নিজের ঝুলিতে ভরেছেন।

এদিনের বোলিং আক্রমণ ছিল বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেস শো। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিপক্ষকে ২৪৪ রানে অলআউট করে দেওয়া নিঃসন্দেহে বড় কৃতিত্ব। যদিও স্কোরবোর্ডে তিন অঙ্কের রান এসেছে, কিন্তু তা শুধু আসালাঙ্কার একক নৈপুণ্যের ফল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ এই লক্ষ্য তাড়া করতে কতটা সফল হবে?
সেই উত্তরের জন্য অপেক্ষা ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত। তবে আপাতত লঙ্কান ইনিংস ধ্বংস করে বাংলাদেশের বোলাররা তুলে নিয়েছেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator