বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরের চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পূর্ব সমাবেশে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক উজ্জীবনী বক্তৃতা প্রদান করেন। তিনি জানান, প্রবাসে থেকেও দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসা তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন দিক উন্মোচন করবেন। এ্যানি বলেন, 'তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তিনি আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন।'
সমাবেশে এ্যানি আরও উল্লেখ করেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি এবং সমমনা দলের ত্যাগ ও লড়াইয়ের কথা। তিনি সমাবেশে বলেন, 'লন্ডনে হওয়া বৈঠক আমাদের ত্যাগের ধারাবাহিকতা এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা।'
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকেই দলটির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষকে দমন, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং দুঃশাসনের ইতিহাস আওয়ামী লীগের। গত ১৭ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং লুটপাট, বিরোধী মত দমন ও স্বৈরশাসনের মাত্রা আরও বেড়েছিল।'
বক্তৃতায় এ্যানি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের রাজনীতি করেনি, করে না। বরং তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্রভাব বিস্তার, ভয়ভীতি ও দুর্নীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা খুন ও নির্যাতনের রাজনীতির ধারক। তাই মানুষ জুলাইয়ের আন্দোলনে রাস্তায় নেমে তাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এখন শুধু জনগণ অপেক্ষায় আছে, এই দুঃশাসনের মূল হোতাদের বিচারের দিন কবে আসবে।'
এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম সারওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। তাদের উপস্থিতি দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের জন্য তাদের প্রস্তুত করেছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। তার আগমন বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল এবং আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায় কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ এবং সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে। এর পাশাপাশি, জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে এই পরিবর্তন দেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
		
				
			


















