close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। এই বিপ্লবের মূল নেতা ছিলেন তারেক রহমান—যিনি প্রবাস থেকে জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছেন। অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের ভাষায়, এই আন্দোলন..

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৪ সালের জুলাই মাস ছিল এক উত্তাল, যুগান্তকারী সময়। সেই সময় দেশের মানুষের মনে যখন হতাশা, দিশেহারা অবস্থা ও দমন-পীড়নের কালো ছায়া নেমে এসেছিল—ঠিক তখনই দুর্দান্ত নেতৃত্বের পরিচয় দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রবাসে থেকেও তিনি জাতিকে দিয়েছেন দিকনির্দেশনা, আশার আলো ও ঐক্যের আহ্বান।

বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় মঙ্গলবার বিকেলে স্বাগত বক্তব্যে বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন—নেতৃত্ব মানে দূরত্ব নয়, নেতৃত্ব মানে মানুষের হৃদয় জয় করা। তিনি ছিলেন না দেশে, কিন্তু তার কণ্ঠে আমরা শুনেছি স্বাধীনতার ঘোষণা, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা।

এই উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী একটি বৃহৎ কর্মসূচির সূচনা করেছে বিএনপি। ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয় বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনাসভা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী ভাষণ দেন তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বর্ষপূর্তি পালন কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী। অংশ নেন ৬৩টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা, শহীদ পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শহীদ পরিবারদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেওয়া হয় এবং অভ্যুত্থান নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

অধ্যাপক মোর্শেদ বলেন, “তারেক রহমান শুধু বিএনপির নেতা নন, তিনি তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন এমন একটি বাংলাদেশের, যেখানে থাকবে না অন্যায়, দুঃশাসন ও জুলুম—থাকবে কেবল ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর পরই তারেক রহমান যে দ্রুত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে আমরা পেয়েছি প্রেরণা ও রাজনৈতিক শক্তি। এই অভ্যুত্থান তার দূরদর্শী নেতৃত্বের জ্বলন্ত উদাহরণ।

বক্তব্যে মোর্শেদ হাসান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান এবং অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষের আশা-ভরসা তারেক রহমানের ওপর। তাই তার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় আজ গোটা জাতি।

আলোচনায় তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “গত ১৬ বছরে হাজারো বিএনপি নেতাকর্মী গুম-খুন হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনো মাথানত করেননি। বরং জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি নি:শর্ত মুক্তি পান, যা গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য নতুন সাহসের জন্ম দেয়।

তিনি বলেন, “এই বিপ্লব আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—গণতন্ত্র কারও করুণা নয়, এটি অর্জিত হয় রক্ত দিয়ে, সংগ্রাম দিয়ে, ঐক্য দিয়ে।

আলোচনার শেষভাগে মোর্শেদ হাসান সরকারের কাছে শহীদ ও গুম হওয়া সকল মানুষের তালিকা প্রকাশ, বিচার নিশ্চিত করা এবং শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানান। একইসাথে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক মোর্শেদ বলেন, “আজকের দিনে আমরা শপথ নিই—এই শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে যাবো।

জুলাই বিপ্লব ছিল শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং তা ছিল জনতার মনের অভ্যুত্থান। তারেক রহমান সেই মনের ভাষা পড়তে পেরেছেন বলেই তিনি হয়েছেন একটি আশা, একটি প্রতীক।

আজ দেশের কোটি মানুষ অপেক্ষায়—নেতা ফিরে আসুক, নেতৃত্ব আবার নিজের হাতে তুলে নিক। কারণ, মানুষের হৃদয়ে তিনি আছেন—এবং এটাই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয়।

कोई टिप्पणी नहीं मिली