close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

টানা তিন দিন বন্ধ পুঁজিবাজার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আসছে টানা তিন দিনের ছুটি। আশুরা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ থাকবে দেশের দুই পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বিরতি সময় হতে পারে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ।..

দেশের পুঁজিবাজারে আসছে টানা তিন দিনের বিরতি। ৬ জুলাই রবিবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যার ফলে ওই দিন লেনদেন হবে না দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এর আগের দু’দিন—শুক্রবার (৪ জুলাই) এবং শনিবার (৫ জুলাই)—সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় টানা তিন দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গত ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করে, বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সালের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শুক্রবার (২৭ জুন) থেকে শুরু হয়েছে মহররম মাস। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মহররমের ১০ তারিখে, অর্থাৎ রবিবার (৬ জুলাই), সারা দেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হবে। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি গভীর শোক ও ত্যাগের দিন।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটির পাশাপাশি নিয়মিত সাপ্তাহিক ছুটি মিলে পুঁজিবাজারে কার্যক্রমে টানা বিরতি দেখা দিচ্ছে। দেশের শেয়ারবাজারে এমন তিন দিনের বিরতি সাধারণত বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছুটির সময়কে অনেকে বাজার বিশ্লেষণ ও নতুন কৌশল ঠিক করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ছুটির সময়ে দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও বৈশ্বিক শেয়ারবাজারের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।

তবে, এই বিরতি বিনিয়োগকারীদের কাছে যেমন বিশ্রামের সময়, তেমনি এটি হতে পারে চিন্তা-ভাবনার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। অনেকেই এই সময় ব্যবহার করবেন পোর্টফোলিও পর্যালোচনায়, কেউবা অপেক্ষা করবেন নতুন বিনিয়োগের সুযোগের জন্য।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামী সোমবার (৭ জুলাই) লেনদেন আবার স্বাভাবিক নিয়মে শুরু হবে। বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে ছুটির দিনগুলোতে কোনো গুজবে কান না দিয়ে প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে।

অন্যদিকে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও এই বিরতির সময় বাজার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক বাজারের পরিবর্তন, বৈদেশিক মুদ্রার হার, সোনার দাম এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক নীতিমালার যে কোনো পরিবর্তন এই সময়ে বিশেষভাবে বিবেচনায় আসবে।

তবে সবকিছুর পরেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা প্রশ্ন থাকছেই—টানা এই তিন দিনের ছুটির পর বাজারে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে? ছুটির প্রভাব কি পজিটিভ না নেগেটিভ হবে?

বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় কোনো আর্থিক ঘটনা না ঘটলে বাজার স্থিতিশীলভাবেই ছুটি শেষে শুরু হবে। তবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ বা আমেরিকার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটলে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে।

সুতরাং পুঁজিবাজারে আগ্রহী সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে—এই তিন দিনের ছুটিকে যেন শুধু বিশ্রাম নয়, বরং চিন্তা ও কৌশল নির্ধারণের সময় হিসেবে কাজে লাগানো হয়।


 

Nema komentara