আসন্ন ঈদুল ফিতরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ৯ দিনের ছুটি উপভোগ করতে পারেন। সরকারের পূর্ব ঘোষিত ছুটির সঙ্গে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত হতে পারে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে। ফলে কর্মজীবীদের জন্য এটি হতে পারে এক বিরল ও দীর্ঘ ছুটির সুযোগ।
সরকার ইতোমধ্যে ঈদের জন্য ৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে ৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে একদিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। যদি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তাহলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৮ মার্চ (শুক্রবার) থেকে ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। এই সম্ভাব্য তারিখ ধরে সরকার ইতোমধ্যে ৫ দিনের ছুটি নির্ধারণ করেছে। ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। তবে ২৮ মার্চ শুক্রবার হওয়ায় এবং সেদিন পবিত্র শবে কদরের ছুটিও থাকায় কার্যত ছুটি একদিন আগেই শুরু হচ্ছে।
পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকারি অফিস ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পুনরায় খোলার কথা ছিল। কিন্তু ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করা হলে টানা ৯ দিন ছুটি মিলবে।
এছাড়াও, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা চাইলে ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) একদিন ছুটি নিয়ে টানা ১২ দিনের বিশ্রাম নিতে পারবেন।
অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্যও বিশেষ ছুটির পরিকল্পনা রয়েছে। নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমগুলোতে তিন দিনের ছুটি থাকবে। তবে রমজান যদি ৩০ দিন পূর্ণ হয়, তাহলে আরও একদিন ছুটি বাড়তে পারে।
এই দীর্ঘ ছুটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানোর এক দারুণ সুযোগ এনে দেবে। ছুটির ঘোষণা দ্রুত চূড়ান্ত হতে পারে, তাই অফিসিয়াল আপডেটের জন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।