close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সুষ্ঠু ভোট হলে তারা একটা দুইটা আসনও হয়তো পাবে না , রুমিন ফারহানা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সুষ্ঠু ভোট হলে কিছু দলের একটি আসনও মিলবে না—এমন মন্তব্য করে সরকার ও উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুললেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা। বললেন, প্রলম্বিত সরকারে আছে লোভের গন্ধ।..

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানার সাম্প্রতিক বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সুষ্ঠু ভোট হলে অনেক রাজনৈতিক দলের একটি বা দুটি আসন পাওয়াও কঠিন হবে।” তার এমন মন্তব্যে ইঙ্গিত রয়েছে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং কিছু দলের জনপ্রিয়তা ও জনভিত্তির ঘাটতির দিকে।

রুমিন অভিযোগ করেন, বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অনেক উপদেষ্টার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সরকারের মেয়াদ প্রলম্বিত করা। তিনি বলেন, “সরকারের ২২ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। যেসব সুযোগ-সুবিধা, প্রটোকল ও বিলাসী জীবন তারা ভোগ করছেন, তা কি তারা সহজে ছাড়বেন? এমন লাইফস্টাইল কেউ সহজে ত্যাগ করে না। ফলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে তারা চান এই সরকার আরও কিছু সময় চালিয়ে যাক।”

শুধু উপদেষ্টা নয়, কিছু রাজনৈতিক দলও একই কারণে আগ্রহী সরকার দীর্ঘস্থায়ী হোক—এমন মন্তব্য করেন তিনি। রুমিন বলেন, “এটা শুধু একজন বা দুইজন উপদেষ্টার ইচ্ছা নয়। উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই মনে করেন নির্বাচন বিলম্ব হলে তারা আরও কিছু সময় সেই সুবিধাগুলো ভোগ করতে পারবেন।”

এই টকশোতে রুমিন ফারহানা সরাসরি নাম উল্লেখ না করে ইঙ্গিত করেন, অনেক রাজনৈতিক দল জানে যে, বাস্তবসম্মত, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে তারা আসন পাবে না। তবু তারা মিডিয়ায় সরব। তিনি বলেন, “এমন কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা জানে তাদের পক্ষে একটি বা দুটি আসন পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু মিডিয়ায় তাদের নেতা যখন বলেন, তিনশ আসনের জায়গায় চারশ আসনের কথা, তখনও সেটা খবর হয়।”

এসময় রুমিন কটাক্ষ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা নাসীরউদ্দিন পাটোয়ারির একটি সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি। পাটোয়ারি দাবি করেছিলেন, বিএনপি বড়জোর ১০০টি আসন পাবে। রুমিন এই বক্তব্যকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “তারা সব কিছুই জোর দিয়ে বলেন। ৫০ থেকে ১০০ আসনের কথা বললেই সেটা সত্য হয়ে যায় না। মানুষ এসব শুনে হাসে, মজা করে।”

নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপির অভিযোগ, অন্তবর্তীকালীন সরকার নাকি বিএনপির দিকে ঝুঁকে গেছে। এই অভিযোগের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, “এই কথা না বললে তো তাদের রাজনীতি টিকে থাকবে না। একটি দল জনসভা ডাকলে মঞ্চে ২০ জন আর সামনে ২০টি ক্যামেরা থাকে—মানুষ থাকে না। তারপরও আজ আমরা এখানে বসে তাদের নিয়েই আলোচনা করছি, এটা তো তাদের জন্য বিশাল পাওয়া। এমনকি যে দলের দুটি ভোট নেই, তারাও আজ এয়ার টাইম পাচ্ছে—এটাই বড় পাওয়া।”

এই বক্তব্যে রুমিন স্পষ্ট করেছেন যে, বর্তমান সরকারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক পটভূমিতে সুবিধাভোগী অনেকেই নিজেদের স্বার্থেই চায় নির্বাচন পেছাতে। পাশাপাশি কিছু দল মিডিয়ায় যতটা সরব, মাঠে ততটাই নিস্তরঙ্গ—এই দ্বৈতচিত্রও ফুটে উঠেছে তার বক্তব্যে।

نظری یافت نشد