ষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২১ জুলাই ২০২৫) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সুমনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লিটন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম, তবে আদালত তা মঞ্জুর করেননি।”
সকাল ১০টা ৮ মিনিটে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সুমনকে আদালতের হাজতখানা থেকে বের করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে সুমন বলেন:
> "দেশটাকে পুড়িয়ে ফেলছে ওরা, দেশটাকে রক্ষা করেন। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে প্রতারণা করছেন আপনারা, ইতিহাস ক্ষমা করবে না।"
পরে তাকে আদালতের এজলাসে নেওয়া হয়।
---
মামলার পটভূমি
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল আছেত শামীম কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে মুগদা থানাধীন বাবু ডাক্তারের গলিতে হামলার শিকার হন। আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া রাবার বুলেট তার কপাল, বুক, পেট, চোয়াল ও হাতে লাগে। পরে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হন।
পরে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ওই আইনজীবী মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই মামলার ২৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
---
গ্রেপ্তার ও রিমান্ড
মামলার পর ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরদিন তাকে যুবদল নেতা এবং মিরপুরের ‘বাঙালিয়ানা ভোজ’-এর সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।