সুদানের এল ফাশারসহ উত্তর দার্ফুর অঞ্চলে সম্প্রতি সংঘর্ষ ও মিলিশিয়ার দখলের ফলে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছেন। দখলের পর শহরের হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র ও নাগরিকরা নিরাপত্তা ও খাদ্য‑পানির অভাবে জীবনযুদ্ধে পতিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতির প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুরআনী‑নুর ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,সুদানের এল ফাশারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ ও ভয়াবহ পরিস্থিতি সাধারণ মানুষদের জীবনকে বিপন্ন করেছে। আমরা মানবতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকল মানুষদের জন্য সহায়তা ও দোয়া জ্ঞাপন করছি।
ফাউন্ডেশন আরও জানিয়েছে, সরকার অনুমোদিত হলে তারা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি ফাউন্ডেশন সকল মানবিক সংস্থাকেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
আমাদের প্রার্থনা, সুদান ও অন্যান্য সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপদ জীবন ফিরে পান। মানবতার সহানুভূতি ও ইসলামের আলোকে আমরা সবাইকে সমবেদনা প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি,যোগ করেছে ফাউন্ডেশন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এল ফাশার শহরটি গত ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে Rapid Support Forces (RSF) দ্বারা দখল করা হয়েছে। দখলের পর হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে সাউদি মেটারনিটি হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে বহু রোগী নিহত হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ খাদ্য ও চিকিৎসা সেবাহীন অবস্থায় বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কিছু মিলিশিয়া নেতার গ্রেফতার হলেও মূল অপরাধীদের বিচার এখনও হয়নি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই ঘটনার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এটি বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধ এবং নৃশংসতার ঝুঁকি তৈরি করছে। স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়ায় প্রায় ১২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আরও প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
ফাউন্ডেশন মানবতার পক্ষে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তারা বিশেষভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষকে অনুরোধ করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়তা ও দোয়া করা।মানবিক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্যের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।সরকার অনুমোদিত হলে ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা।সকল মানবিক সংস্থাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো।নিরপেক্ষ ও সতর্ক তথ্য প্রচার করে মানুষকে সচেতন রাখা।ফাউন্ডেশন আশা করছে, শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে পাবে এবং সাধারণ মানুষদের জীবন স্বাভাবিক হবে।



















