অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষণা করেছে, এইবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ) কোনো দলীয় প্রতীক ব্যবহার হবে না।
দেশের আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ) সম্পূর্ণ দলবিহীন হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছেন যে, এই নির্বাচনে কোন প্রকার দলীয় প্রতীক থাকবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবিত চারটি আইনের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার ফলে নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা বলে জানানো হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও জানান, ‘সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার থেকে দলীয় প্রতীক থাকবে না।’ এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব কমানো এবং ভোট প্রক্রিয়াকে আরো গ্রহণযোগ্য করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হলেও, দলীয় প্রতীক থাকার কারণে নানা সময় বিরোধ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্তমান সিদ্ধান্ত ভোটারদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ বাড়াবে এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের নির্বাচন হবে ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে।
এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা শুধু নিজস্ব নামেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং ভোটাররা তাদের পার্টির নাম বা প্রতীক দেখে নয়, প্রার্থীর যোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা বিবেচনা করে ভোট দেবেন। এটা নির্বাচনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে একটি বড় ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে এই পরিবর্তন আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলকে শক্তিশালী করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।