সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম চাকরির সুযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শনিবার তার ফেসবুক পেজে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, “আমরা সরকারের বিভিন্ন অফিসে পার্টটাইম চাকরিতে নিয়োগ দিতে চাই শিক্ষার্থীদের। অনেক ক্ষেত্রে ফুল টাইম স্থায়ী নিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। এর ফলে পার্টটাইম নিয়োগ দিলে সরকারি ব্যয়ও কমবে, আর শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারবে।”
এর আগে ৫ আগস্টের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী পার্টটাইম নিয়োগ পেয়েছে। আসিফ মাহমুদ বলেন, অনুরূপভাবে অন্যান্য সরকারি দপ্তরেও শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরি দিতে চাই। এটি তাদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে এবং সরকারের খরচ কমাবে।
উপদেষ্টা আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শীঘ্রই বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম চাকরির সুযোগ তৈরি করে সরকারের পাশাপাশি যুব সমাজকেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশের যুবসমাজের মধ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত থাকায় শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে তারা শিক্ষা alongside কাজের সুযোগ পাবে, যা তাদের ভবিষ্যতকে শক্তিশালী করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে কাজ করার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি সরকারি কাজে কার্যকারিতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারি দপ্তরগুলোয় পার্টটাইম কর্মচারীদের নিয়োগ কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকারি অফিসে পার্টটাইম চাকরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করার এই পদক্ষেপ দেশের যুব সমাজের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।



















