close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সরকারের উচিত দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন বসা : মির্জা ফখরুল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Democracy grows through political engagement, says Mirza Fakhrul. He urges the interim government to engage more frequently with political parties before the next election.

রাজনীতির স্বাভাবিক সংঘর্ষে গণতন্ত্র বিকশিত হয়—বললেন মির্জা ফখরুল। নির্বাচনের আগে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঘন ঘন বসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক সংকট এড়াতে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও ঘন ঘন আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সময়মতো মতবিনিময় হলে অনেক উদ্ভট সমস্যা এড়ানো যেতো।

২৩ জুলাই সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদেমের নেতৃত্বে একটি ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৈঠকে ফখরুল বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির মধ্যে ঐক্য অটুট আছে। রাজনীতিতে মতের অমিল, বিতর্ক—এগুলো থাকবেই। রাজনীতি মানেই হচ্ছে প্রতিপক্ষকে যুক্তির মাধ্যমে পরাস্ত করার চেষ্টা, নিজের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা। এটি গণতন্ত্রের স্বাভাবিক নিয়ম, এবং আমরা চাই রাজনীতির এই ধারা অব্যাহত থাকুক।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি থাকলেই দেশের মঙ্গল। মত প্রকাশের স্বাধীনতাই গণতন্ত্রকে শানিত করে। শতফুল ফুটতে দিতে হবে, কারণ নানা মত থেকেই সবচেয়ে ভালোটা বের হয়ে আসে। সরকার যদি বারবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতো, তাহলে হয়তো অনেক সমস্যারই জন্ম হতো না।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফার আলোকে আমরা বাংলাদেশকে একটি রেইনবো স্টেট বা বৈচিত্র্যপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেই লক্ষ্যেই সকল ধর্ম, জাতি ও গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।”

বৈঠকে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যখনই কোনো সংকট তৈরি হয়, সরকার আমাদের ডাকে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই সেই আলোচনায় অংশ নিই। তবে যদি আগেই নিয়মিত মতবিনিময় হতো, তাহলে সংকট সৃষ্টির আগে সমাধান বের করা যেতো। ইউনূস সাহেব যে বৈঠকে ডাকেন, সেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর সঙ্গেই আলোচনার আয়োজন করেছিলেন।”

তিনি বলেন, “জুলাই ও আগস্টের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পরিবর্তনের পথে যাত্রা শুরু করেছি। কিন্তু এখন আবার সেই ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারকে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার কথা বলেছি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনাটি নিছক একটি দুর্ঘটনা।” তবে গোপালগঞ্জের সহিংসতা নিয়ে তিনি বলেন, “এখানে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচন বানচাল করার পরিকল্পনা স্পষ্ট। সচিবালয়ে হামলা, উপদেষ্টা আটকে রাখা—এসবই পরিকল্পিতভাবে ফ্যাসিস্টদের দ্বারা পরিচালিত।”

তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন খুব সচেতন। তারা কোনো চক্রান্তকে সফল হতে দেবে না। নির্বাচন আমাদের অধিকার, সেই অধিকার আদায়ে জনগণ প্রস্তুত আছে।”

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।

Hiçbir yorum bulunamadı