close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সংসদ নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
To ensure security in sensitive polling centers during the upcoming national election, the Ministry of Home Affairs has recommended installing CCTV cameras.

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের সুপারিশ করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই প্রস্তাবনা সংবলিত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল হাই।

জানা গেছে, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ১১তম সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সভাতেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং সেটির কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। আর এই বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়ছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।

শুধু তাই নয়, নির্বাচনী সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণ ও পাসিং আউট প্রক্রিয়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে কোনোভাবেই যেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে। এজন্য নজরদারি আরও বাড়ানো হবে এবং মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনের আগে দুটি মহড়া পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা চালানো হলে, তাতে যেন পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়, সে বিষয়েও সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সবশেষে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিষ্কারভাবে বলেছে—নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনের আগে সব সংস্থা যেন একত্রে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তার একটি স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রণালয়ের বিশ্বাস।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে—সে বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি কমিশনের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সরকারের প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। সিসিটিভির মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Inga kommentarer hittades