close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এবং বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল বুধবার অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। বিএনপি এর আগে ২৬ নভেম্বর কমিশনে ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছিল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশনের সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য
কমিশনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। একইভাবে বিএনপিও প্রস্তাব করেছিল, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তবে কমিশন আরও যোগ করেছে, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারবেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা
বিএনপি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাব দেয়। কমিশন এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সুপারিশ করেছে, যার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৯০ দিন। প্রধান উপদেষ্টা এবং ১৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ এ সরকার পরিচালনা করবে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল
বিএনপি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে, কমিশন রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের সুপারিশ করেছে। এই কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশ করবে।
ক্ষমতার ভারসাম্য
কমিশন ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ রোধে প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছে। বিএনপিও প্রস্তাব করেছিল নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতার ভারসাম্য আনার।
চমকপ্রদ সংযোজন
কমিশনের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, বিরোধী দলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
মূল্যায়ন
বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবগুলোর অনেকটাই কমিশনের সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে কমিশন আরও কিছু নতুন দিক যোগ করেছে, যা ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেষ কথা
সংবিধান সংস্কারের এই উদ্যোগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি বড় পদক্ষেপ। তবে, এর বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা এবং জনমতের ওপর।
Nenhum comentário encontrado