রবিবার (৬জুলাই) বিকেলে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে কুতুবদিয়া উপজেলা দল ২-১ গোলে জয়লাভ করেছে। খেলার শুরুতে মহেশখালী উপজেলা ১ -০ গোলে এগিয়ে থেকে পরে ২-১ গোলে হেরে যায়। মাঠে দর্শক ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কুতুবদিয়া খেলোয়াড় সমিতি ও স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টায় এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতায় করেছে কুতুবদিয়া স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় ফোরাম।
ম্যাচটি পরিচালনা করেন জেলা রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মাস্টার নিজ্জল শীল। ধারাভাষ্য উপস্থাপন করেন কুতুবদিয়ার মাস্টার মো. কাইছার ও মহেশখালীর দেলোয়ার হোসেন।
ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী পৌরসভার গৌরকঘাটা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কৃতি ফুটবলার ও সমাজসেবক ফয়সাল আমিন। খেলার আগে তিনি কুতুবদিয়া খেলোয়াড় সমিতির নতুন অফিস উদ্বোধন করেন এবং আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
এ সময় ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষক আনিছুর রহমান, কুতুবদিয়া ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সেক্রেটারি মাস্টার বিমল শীল, কুতুবদিয়া খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. রশীদ বাদশা ও প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি দেবব্রত পাল দেবুসহ ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন তিনি উপজেলার বড়ঘোপ মধ্যম অমজাখালীর একটি মসজিদের মাঠে বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি কুতুবদিয়ার একজন জনপ্রিয় শিক্ষকসহ তিনজন অসুস্থ রোগীকে মোট এক লক্ষ টাকা অনুদান দেন এবং একটি কবরস্থানের জন্য জমি ক্রয়ের আশ্বাসও দেন।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন,
ফয়সাল আমিন কেবল ক্রীড়াঙ্গনেই নয়, মানবিক উদ্যোগেও নজর কেড়েছেন।
স্থানীয়রা মনে করছেন, মহেশখালীর এই তরুণ সমাজসেবক ও শিক্ষার্থী ফয়সাল আমিন ক্রীড়া, পরিবেশ এবং মানবিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার উদ্যোগ দুই উপজেলার মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। কুতুবদিয়া খেলোয়াড় সমিতি যথার্থভাবেই তাকে সম্মানিত করেছে।
এই প্রীতি ম্যাচ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম কুতুবদিয়া-মহেশখালী যুব সমাজের বন্ধনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Không có bình luận nào được tìm thấy