close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সলঙ্গায় ৬৫ বছর ধরে  তথ্য গোপন করে মসজিদের ৯ বিঘা জমি দখলে রাখা ও ফসলাদী আত্মসাৎ এর  অভিযোগ ..

শাহরিয়ার মোরশেদ avatar   
শাহরিয়ার মোরশেদ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদের নামে ওয়াকফ করা ৯ বিঘা জমি ৬৫ বছর যাবৎ নিজেদের পরিবারের  দখল ও ফসলাদী আত্নসাতে অভিযোগ উঠেছে
 হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চরিয়া শিকার উত্তর পাড়া গ..

সলঙ্গায় ৬৫ বছর ধরে  তথ্য গোপন করে মসজিদের ৯ বিঘা জমি দখলে রাখা ও ফসলাদী আত্মসাৎ এর  অভিযোগ 


সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।
 
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদের নামে ওয়াকফ করা ৯ বিঘা জমি ৬৫ বছর যাবৎ নিজেদের পরিবারের  দখল ও ফসলাদী আত্নসাতে অভিযোগ উঠেছে
 হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চরিয়া শিকার উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে চরিয়া শিকার দক্ষিনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম মন্টুর (৬০) বিরুদ্ধে। 

চরিয়া শিকার উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ) এর নামে গত ২৭.১১.১৯৬০ সনে মন্টু মাস্টারের পিতা আব্দুল জলিলের  ফুফু লতিফুন্নেসা তার নীজ নামীয় জমি ৩৯০ ও ৩৯২ আর এস খতিয়ানের ১৬৯৬, ১৬৬৫, ৪৯৬৮,১১৬০,১৬৫৯,৪৯০৭,৫০৩১ দাগের মোট ৯বিঘা জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন।
লতিফু্ন্নেসার দেয়া ওয়াকফ দলিলে নদীর ধারে মসজিদে
দেয়া ৯ বিঘা জমির দলিলে তার ভাতস পুত্র আবদুল জলিলকে মুতাওয়াল্লি হিসেবে ইতি টানেন। উক্ত ৯ বিঘা ৩০৩ একর জমি থেকে উৎপাদিত ফসল নদীর ধারের মসজিজের উন্নয়ন কাজে ব্যায়ের কথা উল্লেখ করেন।
লফিফুন নেছার ভাতিজা আব্দুল জলিল মারা যাওয়ার পর তার ছেলে  মন্টু মাস্টার দলিল ও ওয়াক ফের কাগজপত্রাদি  গোপন করে ৬৫ বছর যাবৎ উক্ত জমি তার নিজের দখলে রেখে ফসলাদী ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। 
বিষয়টি জানাজানি হলে চরিয়া  এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। 
মসজিদ কমিটি বার বার কাগজ দেখতে চাইলে মন্টু জানান, আমাকে মোতোয়াল্লি নিয়োগ দিয়েছে, এবং মসজিদে মাঝে মাধ্য ধুপশলা আগর বাতি কিনে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা আছে  যা আমি যে কোন মসজিদে দিতে পারি। 
পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ডলার
সহ গ্রামের লোকজন মিলে ঢাকার ওয়াকফ স্টেট অফিস থেকে কাগজ পত্রাদি তুলে আনলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। এ নিয়ে একাধিকবার বার মন্টুর সাথে বসে জমাজমি ও তার ফসলাদীর হিসেব  চাইলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে মন্টু মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মসজিদ কমিটিই একটি ভূয়া দলিল করে আমাদের সম্পত্তি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। 

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ ইসলাম ডলার বলেন, তথ্য গোপন করে ৬৫ বছর যাবৎ মন্টু মাস্টার ও তার পরিবার মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত জমি দখলে রেখেছে। আপনাদের মাধ্যমে জমি ও তার ফসলাদীর হিসেব ও অর্থ আমারা ফেরত চাই। এ বিষয়ে যতদূর যাওয়া দরকার আমরা যাব। 
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা তারা। #

Keine Kommentare gefunden