close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্ককার..

Nezam Uddin avatar   
Nezam Uddin
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে করেরহাট ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেমকে বহিষ্কার করেছে যুবদল।..

স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবদল নেতা বহিষ্ককার

ট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে করেরহাট ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেমকে বহিষ্কার করেছে যুবদল।চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে করেরহাট ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেমকে (৩৭) দল ও পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠন। সোমবার (১২ মে) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। রবিবার (১১মে) বিকেলে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে করেরহাট ইউনিয়নের ত্রিপুরা পাড়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তাকে সংগঠনের সকল পদ ও সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার কোনো দায়-দায়িত্ব ভবিষ্যতে দল নেবে না এবং তার সাথে কোনো নেতাকর্মী যোগাযোগ রাখলে তাকেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল পাঁচটার দিকে প্রাইভেট পড়ে ঘরে ফিরে রান্নার কাজ করছিল ওই কিশোরী। এসময় আবুল কাশেম বাড়ির উঠানে এসে পানি চাইলে কিশোরী তাকে পানি দেয়। কিন্তু এরপর হঠাৎ সে কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাকে ১০০ টাকা দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় এবং রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। মুখ চেপে ধরার পর কিশোরী ধস্তাধস্তি করে তার হাত থেকে ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার করলে আশপাশের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকজন ছুটে আসে। এসময় আবুল কাশেম দ্রুত মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমি ও আমার স্বামী বাইরে কাজে থাকার সুযোগ নিয়ে আমাদের বসত ঘরে ঢুকে আবুল কাশেম আমার মেয়ের উপর ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে বের হলে সন্ধ্যায় কয়লা বাজারে কিছু লোক আমাদের বাঁধা দিয়ে পরে স্থানীয়ভাবে বৃহস্পতিবার মীমাংসা করে দিবে বলে থানায় যেতে দেয়নি। আমি এ ঘটনায় জোরালগঞ্জ থানায় আজ সোমবার ১২ মে দুপুরে একটি এজহার দায়ের করি । ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মা দুজনই দিনমজুর এবং অত্যন্ত দরিদ্র। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবুল কাশেম বলেন, আমি ওই কিশোরীর বাবার কাছে টাকা পাই। সেই টাকা উদ্ধার করতে তার বাড়িতে গেলে মেয়েটির বাবার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি তাদের বাড়ির উঠান থেকে চলে আসি। ঘরে ঢুকে কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা এলাকায় নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক ত্রিপুরা কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করার বিষয়ে জেনে রোববার রাতেই সেখানে পুলিশের একটি পরিদর্শন টিম পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ওই কিশোরীকে শ্লীলতাহানির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অভিযুক্তব্যক্তিকে দ্রূত আইনের আওতায় আনা হবে।ট্যাগস: বহিষ্কার, ছাত্রী, শ্লীলতাহানি, শৃঙ্খলা, জোরারগঞ্জ

کوئی تبصرہ نہیں ملا