close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
সিরিয়ার আকাশে ইসরাইলি তাণ্ডব: ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশ ধ্বংসের দাবি
সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের দাবি, সিরিয়ার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর), আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, বাশার আল আসাদের শাসনের পতনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তারা এ অভিযান চালিয়েছে।
ইসরাইলি বিমানবাহিনীর পরিকল্পিত হামলা:
বিবৃতিতে বলা হয়, কৌশলগত অস্ত্রশস্ত্রসহ সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো নিষ্ক্রিয় করার উদ্দেশ্যে ইসরাইলের বিমানবাহিনী শত শত বিমান ও ড্রোন নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় সিরিয়ার যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিমান ঘাঁটিতে তাণ্ডব:
ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের টি-৪ বিমানবন্দর এবং দামেস্কের কাছে অবস্থিত ব্লে বিমানবন্দর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টি-৪ বিমানবন্দরের এসইউ-২২ ও এসইউ-২৪ যোদ্ধা স্কোয়াড্রন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ব্লে বিমানবন্দরের তিনটি ফাইটার স্কোয়াড্রন এবং নিকটবর্তী অস্ত্র সংরক্ষণাগারেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র ও মজুদাগারে হামলা:
সিরিয়ার হোমস এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ও মজুদাগার ইসরাইলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এ হামলায় সিরিয়ার সামরিক শক্তি ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
আইডিএফ জানায়, এই অভিযান চালানো হয়েছে সিরিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করার জন্য। তাদের মতে, আসাদ সরকারের পতনের পরিস্থিতিতে সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এত বড় পরিসরের হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এই আঘাত অঞ্চলটির স্থিতিশীলতায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইসরাইলি এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। অন্যদিকে, সিরিয়া এখন তাদের সামরিক শক্তি পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এই অঞ্চলের উত্তেজনা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় প্রশ্ন।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি



















