close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
সিলেট সীমান্তে ১৩৯ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ: বিজিবির কঠোর অভিযানে বড় সাফল্য!


সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য অর্জন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বিজিবি ১৩৯ কোটি টাকার চোরাই মালামাল জব্দ করেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
বিজিবির কঠোর নজরদারিতে সফল অভিযান
বুধবার ‘সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য প্রকাশ করেন বিজিবির অধিনায়ক। তিনি বলেন, বিজিবির নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি ও কঠোর পদক্ষেপের ফলে চোরাচালান দমন অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে আমাদের সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। চোরাচালান দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে, তাই সকল নাগরিকের উচিত সৎ জীবনযাপন করা।”
মতবিনিময় সভায় সীমান্ত অপরাধ নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা
সিলেট বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। সভায় সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান, মানবপাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় থানার ওসি, নকশিয়ার পুঞ্জি (খাসিয়া জনগোষ্ঠী) জাফলং গোয়াইনঘাট সিলেটের হেডম্যান ওয়েলকাম লাম্বা, স্থানীয় মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক, পশ্চিম জাফলং ইউপির জনপ্রতিনিধিসহ সীমান্তের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সীমান্তবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ
সভা শেষে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। এতে বিজিবির মানবিক উদ্যোগের প্রতি স্থানীয় জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধি পায়।
চোরাচালান রোধে সরকারের কড়া বার্তা
বিশেষজ্ঞদের মতে, চোরাচালান শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ নয়, এটি দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। সরকার ও বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান অনেকাংশে কমেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণও যদি সচেতন হয়, তাহলে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে।
সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর করা হবে
বিজিবি জানিয়েছে, চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ও নজরদারি বাড়ানো হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অপরাধ নির্মূলে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান রোধে বিজিবির এই পদক্ষেপে স্থানীয় জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
Geen reacties gevonden