থানার মামলা নং ০৮(০৬)২৫, ০৯(০৬)২৫, ও ১০(০৬)২৫ অনুসন্ধানে মোট ১০টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে প্রথমে বিয়ানীবাজার থানাধীন আমবাড়ী এলাকা থেকে চোর চক্রের সদস্য কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে অপর সদস্য মোঃ আকাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জগন্নাথপুর উপজেলার বাঘমারা তাজপুর এলাকার সেফুল মিয়ার বাড়ির সামনে পার্কিং থেকে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। সিলেটের বিয়ানীবাজার থানা থেকে শুরু করে জগন্নাথপুর পর্যন্ত এই অভিযান একটানা দশ ঘণ্টা ধরে পরিচালনা করা হয়।
সিডিএমএস যাচাইয়ে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন থানায় মোটরসাইকেল চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। মাত্র ১-২ মিনিটেই মোটরসাইকেলের লক ভেঙে চুরি করতে পারদর্শী এই আসামি আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে যে, গত তিন মাসে তারা বিয়ানীবাজার থানা এলাকা থেকে প্রায় ৫-৬টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশ হেফাজতে এনে বাকি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ জানিয়েছে, চোরচক্র নির্মূলে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।