রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যরাতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জানালেন স্পষ্ট বার্তা—দেশটা আমার বাপ-দাদার, কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে শুক্রবার গভীর রাতে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সরাসরি কোনো দলের নাম উল্লেখ না করলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এক বাক্যে ধরে নিয়েছেন, এটি ছিল জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করেই তার মন্তব্য।
পোস্টের শুরুতেই তিনি একটি কটাক্ষসূচক স্লোগান উত্থাপন করেন—কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার?” এ স্লোগানের ব্যঙ্গচিত্র টেনে ইশরাক স্পষ্টভাবে বলেন, এই স্লোগান খু*নি হাসিনার জন্য প্রযোজ্য। অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে যারা হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাদেরই ‘বাংলা ছাড়ো’ বলা হয়।
এরপর তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের জন্য, হ্যাঁ—বাংলাদেশ আমার বাপ-দাদার। কারণ এই দেশের মাটিতে আমার পূর্বপুরুষদের জন্ম হয়েছে, তারা এখানেই শায়িত আছেন। তাই বাংলাদেশের প্রতি আমাদের যে দায়, ভালোবাসা, এবং অধিকার—তা কারো চক্রান্তে হারিয়ে যাবে না। এই দেশ আমাদের, আমরা দেশটাকে ভালোবাসি, রক্ষা করব এবং প্রয়োজনে লড়বও।
ইশরাক আরও লেখেন, যারা অতীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা যদি আবারও পরাধীনতার বিনিময়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তাদের জন্য এদেশে জায়গা নেই। আমি বহু আগেই যাদের ‘নব্য রাজাকার’ বলেছি, তারা যেন তা স্পষ্টভাবে বুঝে নেয়।
তিনি উল্লেখ করেন, “নতুন কিছু রাজনৈতিক চেহারা, যারা রাজনীতিতে নতুন এসে স্বৈরাচারী কৌশলে এক্সপেরিমেন্ট করতে চায়, তারাও যদি চুপিচুপি একনায়কতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদকে পুনরুজ্জীবিত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যও কখনই সফল হবে না। তারা বাংলা নয়, বরং ক্ষমতা ছাড়বে।”
ইশরাক বলেন, বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তে কেনা একটি রাষ্ট্র। এ দেশ তোমাদের বাপেরও না। যারা শহীদদের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করে কিংবা সেই রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়, তাদের জন্য এদেশে কোনো স্থান নেই।
সবশেষে বিএনপি নেতা স্পষ্ট করে উচ্চারণ করেন—শুনে রাখো, পুরান বা নব্য রাজাকার, কিংবা স্বৈরাচার—এই দেশটা আমার বাপ-দাদার। আর সেই দেশ আমি রক্ষা করব ইনশাআল্লাহ।
এই পোস্টটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী বিরোধী প্ল্যাটফর্মগুলোতে ইশরাকের এই বার্তা প্রশংসিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বক্তব্য ইশরাকের রাজনৈতিক অবস্থানকে যেমন শক্তিশালী করছে, তেমনি বিরোধী রাজনীতির ভবিষ্যত পথনির্দেশও দিচ্ছে।