close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে মরদেহ,তদন্তে পিবিআই

Satyajit Das avatar   
Satyajit Das
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা-বাগান থেকে হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (২২) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় বেল্ট প্যাঁচানো থাকলেও মরদেহটি গাছের নিচে পড়ে ছিল........

সত্যজিৎ দাস:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় একটি চা-বাগান থেকে হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (২২) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি,এটি আত্মহত্যা নয়,বরং ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত হত্যা।

 

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার কাকিয়াছড়া চা-বাগানের ১ নম্বর সেকশনে একটি গাছের সঙ্গে গলায় বেল্ট প্যাঁচানো অবস্থায় হৃদয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত হৃদয় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার লিটন মিয়ার একমাত্র ছেলে। মা হাসিনা বেগম জানান,“আমার একটাই ছেলে ছিল। সে আমাদের সব কিছু ছিল।”

 

হৃদয় কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি স্থানীয়ভাবে ডিশ ও ইন্টারনেট সংস্থাগুলোর সাথে চুক্তিভিত্তিক টেকনিক্যাল কাজ করতেন।

 

পুলিশ জানায়,মরদেহে কিছু আঘাতের চিহ্ন থাকলেও তা রক্তাক্ত নয় এবং লাশটি গাছ থেকে ঝুলছিল না,বরং গাছের নিচে পড়ে ছিল।

 

এসআই অলক বিহারী গুন বলেন,“প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে গলায় বেল্ট প্যাঁচিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা হয়েছে, যাতে আত্মহত্যা বলে ধোঁকা দেওয়া যায়।”

 

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান,“হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) কাজ শুরু করেছে। নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিখোঁজ, সেটি উদ্ধারে অভিযান চলছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজনদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

 

চা-বাগান এলাকার স্থানীয়রা বলছেন,“গলায় বেল্ট থাকলেও লাশ গাছ থেকে ঝুলছিল না,বরং মাটিতে পড়েছিল। এমন বাঁধন দেখে আত্মহত্যা মনে হয় না। নিশ্চয় কেউ বা কারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজাতে চেয়েছে।”

Nessun commento trovato