শ্রীমঙ্গলে ১২৩ বস্তা অবৈধ চা ধ্বংস

Satyajit Das avatar   
Satyajit Das
Bangladesh Tea Board destroyed 123 sacks of substandard and illegal Indian tea in Sreemangal. One factory sealed, fines imposed, and a trader jailed.

সত্যজিৎ দাস:

ভেজাল ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত চায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। আজ (শুক্রবার) দুপুরে শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) প্রাঙ্গণে ১২৩ বস্তা নিম্নমানের ও অবৈধ চা ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১০ বস্তা ভারত থেকে চোরাইপথে আসা চা এবং বাকি ১৩ বস্তা নষ্ট ও দুর্গন্ধযুক্ত গ্রিন টী।

 

চা বোর্ড পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন চা বোর্ডের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন। ধ্বংস কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন;বিটিআরআই-এর পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন,কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শোভন কুমার পাল,চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম সহ আরও অনেকে।

 

চা বোর্ড সূত্র জানায়,গত ৮ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন চা দোকান ও কারখানায় অনুমোদনহীন,নিম্নমানের এবং আমদানিকৃত অবৈধ চা বিক্রির দায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা,একটি মিনি চা কারখানা সিলগালা এবং এক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সীমান্তপথে চোরাই চা,দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের চা এবং অনুমোদনহীন ব্র্যান্ডে নিলাম বহির্ভূত বাজারজাত করা চা ঠেকাতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাজারে ভেজাল ও মানহীন চায়ের কোনো জায়গা থাকবে না।”

 

চা বোর্ডের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল। তারা মনে করেন,বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের চায়ের প্রবেশ ঠেকাতে এমন অভিযান আরও নিয়মিত ও জোরালোভাবে চালানো প্রয়োজন।

Inga kommentarer hittades