close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শ্রীলঙ্কা দেখালো কিভাবে ম্যাচ জিততে হয়! ১-০ তে এগিয়ে লঙ্কারা..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাঁহাতি দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শুরুটা ছিল বেশ আশাব্যঞ্জক..

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চামিকা করুনারত্নেকে চার মেরে দারুণ সূচনা এনে দেন ইমন। অন্যপ্রান্তে তামিমও ছন্দে ছিলেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৪ ওভারেই বাংলাদেশ তোলে ৩৮ রান।

তবে পঞ্চম ওভারে সেই জুটি ভাঙেন নুয়ান থুসারা। লো ফুলটস বলটি শর্ট মিড উইকেটে থিকশানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ১৬ রান করা তামিম। এরপরও পাওয়ার প্লেতে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৪/১। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষে ধীর হতে থাকে রান তোলার গতি।

দ্বিতীয় ধাক্কা আসে লিটন দাসকে হারিয়ে। মাত্র ৬ রান করে জেফ্রি ভ্যান্ডারসের গুগলিতে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি। ২২ বলে ৩৮ রান করে আউট হন ইমনও, থিকশানার বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ব্যর্থ হন তাওহীদ হৃদয়ও, শানাকার বাইরের অফ স্টাম্পের বল কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেন তিনি।

৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দিতে কিছুটা অবদান রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম শেখ। তাদের ৪৬ রানের জুটি কিছুটা স্বস্তি দিলেও থিকশানার বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৯ রান করা মিরাজ। অপরপ্রান্তে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম। শেষ দিকে শামীম হোসেনের দুই ছক্কায় দলীয় সংগ্রহ পৌঁছায় ১৫৪/৬-এ।

বল হাতে ভালো শুরুর প্রত্যাশা থাকলেও সেই স্বপ্ন দ্রুত ভেঙে দেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে টানা তিন চার মেরে আগ্রাসী শুরু করেন নিশাঙ্কা। মাত্র ৩.১ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ স্পর্শ করে স্বাগতিকরা।

৭৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। নিশাঙ্কা ৪২ রানে মিরাজের বলে রিশাদ হোসেনের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন। তবে এই উইকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে ফেরাতে পারেনি। একপ্রান্ত আগলে রেখে কুশল মেন্ডিস তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি (৩১ বলে)। তার সঙ্গে জুটি গড়েন কুশল পেরেরা, যিনি আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ বলে ২৪ রান।

শেষ দিকে মেন্ডিস ৭৩ রান করে আউট হলেও জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কা। ফলে ১৫৪ রানের লক্ষ্য ৯ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা।

এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

Keine Kommentare gefunden