সিরিজের ১ম ম্যাচে গত ২ অক্টোবর শারজায় ৪ উইকেটে জয়ের পর গতকাল (৩ অক্টোঃ) বাংলাদেশ ঐ একই ভেন্যুতে (২য় ম্যাচে) আফগানদের মুখোমুখি হয়। (টি-২০) সিরিজের সবকটি ম্যাচই অবশ্য শারজায় অনুষ্ঠিত হবে। কাল টসে জিতে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়।
আফগানিস্তান তাদের ১ম উইকেট জুটিতে সংগ্রহ করে ৫৫ (৪৭) রান। এটাই তাদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। ওপেনার ইবরাহীম জাদরানের ৩৮ (৩৭) এবং ৩ নম্বরে নামা রহমানুল্লাহ্ গুরবাজের ৩০ (২২) রানের উপর ভর করে আফগান দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৭/৫ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম ও রিশাদ ২টি করে উইকেট পান যথাক্রমে ২৫ ও ৪৫ রান খরচে। আর শরিফল নেন ১টি উইকেট মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে।
জবাবে বাংলাদেশি টাইগাররা দেড়শোর কম টার্গেট হলেও খুব সহজে এগোতে পারেনি। ৪র্থ উইকেটে (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক জাকের আলী ও শামিম হোসেনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের জুটি আসে ৩৭ বলে। বাঁহাতি শামিম করেন ৩৩ (২২) এবং জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৩২ (২৫) রান।
একপর্যায়ে বাংলাদেশের ৮ উইকেট পড়ে যায় ১২৯ রানে ১৭.৫ ওভারে। তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩ বলে ১৯ রান (হাতে মাত্র ২ উইকেট)। ওইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে নুরুল হাসান সোহান এবং (মূলত বোলার) শরিফুল অসাধারণভাবে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। তাদের (৯ম) জুটিতে মাত্র ৮ বলে ২১ রান আসে! বাংলাদেশ ১৫০/৮ রান সংগ্রহ করে ১৯.১ ওভারে। নুরুল হাসান (৩টি ছক্কা সহ) ৩১* (২১) রান করেন। আফগানিস্তানের হয়ে ওমরজাই ৪টি উইকেট নেন ২৩ রানে এবং (অধিনায়ক) রশিদ খাঁন পান ২টি ২৯ রান দিয়ে।
২ উইকেটের এ জয়ের মাধ্যমে ২-০ তে এগিয়ে থেকে সিরিজে আফগানদের হারানো নিশ্চিত করল টাইগার বাহিনী। এ ম্যাচটিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মনোনীত হন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। (এ ম্যাচে) তার বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৩-১ এবং ব্যাট হাতে তিনি ৬ বলে (২টি বাউন্ডারি সহ) অপরাজিত ১৩ রান করেন।
[ক্রিকবাজ এবং গুগল।]



















