close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শিউরে ওঠার মত এক কুখ্যাত ঘটনা: আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে চট্টগ্রাম র‌্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা নৃশংসতার অভিযোগ নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে, ক্ষমতাচ্যুত র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে চট্টগ্রাম র‌্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা নৃশংসতার অভিযোগ নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে, ক্ষমতাচ্যুত র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে চরম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত, ছয় নারীকে নগ্ন করে নির্যাতন করার ঘটনায় সম্প্রতি এটি আলোচনায় এসেছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি), আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন তার ফেসবুক পোস্টে এই অভিযোগ তুলে ধরেন, যা পুরো দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম র‌্যাবের বিরুদ্ধে যে নৃশংসতা প্রকাশিত হয়েছে তা তদন্ত করে জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। মউদুদ সুজন আরও লেখেন, তিনি আলেপ উদ্দিনের আর্থিক সংকটের কথা শুনেছেন এবং তাকে যারা সহায়তা করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জানান, আলেপের পক্ষে এমন জঘন্য কাজ করা একেবারেই অসম্ভব নয়। চরম কুখ্যাতি: আলেপের ভয়ানক ইতিহাস আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ রয়েছে, যা আরও বিস্ময়কর এবং মানবতার পরিপন্থী। মউদুদ সুজন তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, আলেপের বিরুদ্ধে একজন বন্দির স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগও এসেছে। সেই ধর্ষণের ঘটনার সময় স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়েছিল এবং স্ত্রীর মানসিক অবস্থা অবনতির কারণে কিছুদিন পর তিনি মারা যান। মউদুদ সুজনের পোস্টে এই ঘটনাকে মানবিকতার পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে আলেপের বিচার দাবি করা হয়েছে। তিনি বলেন, "একজন র‍্যাব কর্মকর্তার পক্ষে এমন নৃশংস কাজ করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।" তদন্ত ও বিচার: এই পঙ্কিলতার মুখোমুখি বাংলাদেশ এই ভয়ংকর ঘটনা সামনে আসার পরই সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও আলেপ উদ্দিনের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, এ ধরনের অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, "এই আলেপের মতো মানুষ এখনও বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন, যারা সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ।" আরেকটি বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে জানা গেছে যে, আলেপের অপরাধের পরও তাকে দীর্ঘদিন বরিশাল পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর ২০২৪, তার একটি পোস্টের পর কর্তৃপক্ষের সচেতনতা আসে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলেপের বিচারের জন্য জনগণের দাবি এখন প্রশ্ন উঠছে, এই সমস্ত অভিযোগের তদন্তের পর কারা এবং কীভাবে আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে? এ ধরনের নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। এ ঘটনায় জনগণ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত বিচার দাবি করছে। তারা চাইছে, যে র‍্যাব কর্মকর্তা এমন ধরনের অপরাধে লিপ্ত, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যেন অন্যদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়ায়। সংক্ষেপে চট্টগ্রাম র‌্যাবের ছয় নারীকে নগ্ন করে নির্যাতন, ধর্ষণ, এবং শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত এই কুখ্যাত কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা শুধু একটি ব্যক্তি নয়, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে এবং অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়। এমন এক ঘটনা সত্যিই গা শিউরে ওঠানোর মতো এবং তা তদন্তের দাবি রাখে, যাতে ভবিষ্যতে এমন কুকীর্তি আর না ঘটে।
No comments found