শিক্ষকের মুখে অশালীনতা!  ফেসবুক বিতর্কে জড়ালেন শারমিন রেজোয়ানা, উত্তাল শিক্ষক মহল..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
শিক্ষকের মুখে অশালীনতা!  ফেসবুক বিতর্কে জড়ালেন শারমিন রেজোয়ানা, উত্তাল শিক্ষক মহল..

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও ফেসবুকে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য! বিষয়টি যেন বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে অনেকের। অথচ এমনই আচরণ করে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন রেজোয়ানা।

তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিতর্কিত ভিডিও ও বক্তব্যগুলো ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অভিভাবক মহল— সর্বত্র উদ্বেগ ও অসন্তোষ। উঠছে একটাই প্রশ্ন: “এই কি আমাদের শিক্ষকের ভাষা?”

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ৮৮নং শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিউলী রানী মিত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি একইসঙ্গে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহিলা সম্পাদিকা এবং নরসিংদী জেলা শাখার আহ্বায়ক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, “একজন নারী শিক্ষক হয়েও শারমিন রেজোয়ানা এমন ভাষায় কথা বলছেন যা শুধু শিক্ষকতার মর্যাদা নয়, পুরো নারী সমাজকেই অপমান করছে। অশালীন, ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক এবং অপেশাদার বক্তব্য একজন শিক্ষকের পক্ষে কল্পনাও করা যায় না।”

শিউলী রানী মিত্র আরও বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীকে শিষ্টাচার শেখাই, অথচ আমাদের সহকর্মী এমন আচরণ করছেন—যা শিক্ষকতার মুখে চপেটাঘাত।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিরঞ্জন কুমার রায় জানান, “ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শারমিন রেজোয়ানার বক্তব্যে একাধিক সম্মানিত ব্যক্তি ও শ্রেণির বিরুদ্ধে কুৎসা ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে—এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমের কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখে অনেকেই হতবাক। শিক্ষাবিদদের মতে, “যেখানে একজন শিক্ষকের মুখে থাকবে শিক্ষার ভাষা, সেখানে যদি উঠে আসে অপমান, তিরস্কার আর কুরুচি—তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎই বা কীভাবে গড়ে উঠবে?”

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, বিতর্কিত ভিডিও এবং পোস্টগুলো অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা কঠোর কর্মসূচির পথে হাঁটবেন।

একজন শিক্ষক শুধু ক্লাস নয়, সমাজ গঠনের রোল মডেল। কিন্তু যখন সেই শিক্ষকই হয়ে ওঠেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু, তখন প্রশ্ন ওঠে গোটা ব্যবস্থাকে ঘিরে। শারমিন রেজোয়ানার ঘটনাও সেই প্রশ্নগুলোকে আরও জোরালো করে তুলেছে।

לא נמצאו הערות