close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সচেতন মহল।..

MD Ariful Islam avatar   
MD Ariful Islam
বাঘাইছড়ির শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে সুশীল সমাজের তীব্র প্রতিক্রিয়া।..

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাচালং সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ভিবিন্ন নিউজ পোর্টালে মান হানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের ক্ষোভ প্রকাশ। 

 

গত ১৫ জুন রবিবার সকাল ১০ টা ৫১ মিনিটে "দৈনিক কালের প্রতিচ্ছবি" ও সিটিজি নামক নিউজ পোর্টালে "বাঘাইছড়িতে সিরাজুল ইসলাম মাস্টারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অর্থ আত্নসাত ও দুর্নীতির অভিযোগ" শিরোনামে উপজেলার পুরাতন মারিশ্যা গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট হাসান আলী সিরাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ভিবিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেন। এবং এই বিষয়ে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।

 

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে হাসান আলী জানান, আমি কাচালং সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আমাকে অনেকে জানালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান বরাবর আমি লিখিত অভিযোগ করেছি এবং তা তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে, এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, আশা করছি তদন্তের পরে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। 

 

 

 

উল্লেখিত অভিযোগ সমুহের বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের যে সম্মান, স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছি তা আমার শিক্ষকতা ক্যারিয়ারকে গৌরবান্বিত করেছে, আমার এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল অসৎ সার্থচরিথার্থ করার নিমিত্তে আমার বিরোদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে, আমার বিরোদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সর্ব বইব মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য ও ভিত্তিহীন। আমার বিরোদ্ধে আনিত অভিযোগের যদি একটিরও সত্যতা পাওয়া যায় আমাকে যে শাস্তি দেয়া হবে তা মাথা পেতে নিবো, এবং যদি সত্যতা পাওয়া না যায় এসকল মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগকারী ও তাদের সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের নিকট সু দৃষ্টি কামনা করছি। 

 

 

 

কাচালং সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি পরীক্ষার্থী সাবিকুন নাহার তার শিক্ষক সম্পর্কে বলেন, সিরাজ স্যার তিনি আমাদের অত্যান্ত শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষন, তিনি আমাদের যত্ন সহকারে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন, উনার ক্লাসে আমরা অনেক আন্দের সাথে পাঠদান গ্রহণ করে থাকি, নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে আমাদের ভালো লাগে। সবচেয়ে বড় বিষয় আমাদের কোন সমস্যা হলে স্যারের কাছে গেলে সুন্দর সমাধান পাই এবং আমাদের সাথে নিজের ছেলে মেয়ের মত আচরণ করে থাকেন, স্যার আমাদের সবার আইডল। সাবিকুন আরা জানায় সিরাজ স্যারের নামে নিউজ পোর্টালে শিক্ষার্থীদের সাথে অসাধু আচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে এমন কোন আচরণ আমরা কখনো দেখি নাই। 

 

কাচালং সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ, নুরুজ্জামান আলী, ইয়াসিন নুর, প্রাণেশ চাকমা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব সিরাজ স্যারের নামে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। স্কুলে একাডেমিক বিষয়ে তিনি অত্যান্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিদ্যালয়ের মান সম্মত শিক্ষা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। তিনি আমাদের সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। উনার এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু কুচক্রী মহল উনার নামে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগে তীব্র, নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। একইসাথে কুচক্রী মহলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

 

বাংলাদেশ স্কাউট বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার কমিশনার বীর কুমার চাকমা বলেন, সিরাজ সাহেব বর্তমানে উপজেলা স্কাউটের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন, উনার সততা ও দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আমরা সব সময়ই মুগ্ধ। সদ্য দায়িত্ব দেয়ার পূর্বে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করতে চাননি আমাদের উপজেলা সকল শিক্ষকদের আবদারে আবারো দায়িত্ব গ্রহণ করেন, শুধু স্কাউটে নয় তিনি শিক্ষক হিসেবে চৌকস, অনেক বিনয়ী, হাস্যোজ্জ্বল ও জনপ্রিয়।

 

কাচালং সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক একাডেমিক কাজে প্রধান শিক্ষককে সহযোগীতা করে থাকেন এবং সিরাজ সাহেব নিষ্ঠার সাথেই উনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন, প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কোন শিক্ষার্থীকে ফরম ফিলাপ করানো বা না করানোর বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের কোন হস্তক্ষেপ নেই এবং আমাদের বিদ্যালয়ে এই চর্চা হয় না একই সাথে অর্থনৈতিক কোন কর্মকান্ডের সাথেও কোনভাবে তিনি জড়িত নন। সিরাজ সাহেবের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক ও অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা আমি ভিত্তিহীন বলে মনে করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষস বোর্ড কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের একটি চিঠি দেখা যাচ্ছে এবং সেখানে অনুলিপিতে প্রধান শিক্ষকের নাম রয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন নোটিশ বা চিঠি আমি এখনো পাইনি এবং বোর্ড থেকে কেও যোগাযোগ করেনি।

 

 

 

চৌমুহনী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম বলেন, সিরাজ সাহেব আমাদের মসজিদ প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৫ সাল হতে অদ্যাবধি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন, তিনি দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আমরা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ও সমাজের প্রতিটা পরিবার সিরাজ সাহেবের কর্ম দক্ষতায় অনেক খুশি এবং ভবিষ্যতেও উনি আমাদের সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাবেন বলে আশা করি। আমরা শুনেছি একটি কুচক্রী মহল উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমরা এই বিষয়ের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

 

বাঘাইছড়ি বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, সিরাজ ভাই বাঘাইছড়ি বায়তুশ শরফ প্রতিষ্ঠা হতে অদ্যাবধি অত্যান্ত সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বায়তুশ শরফ এতিমখানা ও পুরো মাদ্রাসার শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, এতিমদের ভরণপোষণের জন্য সর্বদা উদ্বীগ্ন থেকে সুন্দর সমাধানের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দরবারের সকল উন্নয়নে প্রশংসার সাথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন৷ দরবারের প্রতিটা পদক্ষেপে পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যদের সাথে সমন্বয় রেখে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকেন যার ফলে বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি ও বাঘাইছড়ি বায়তুশ শরফ পরিচালনা কমিটির প্রতিটা সদস্য উনার প্রতি অত্যান্ত সন্তুষ্ট, আমরা দরবারের পক্ষ থেকে উনার জন্য দোয়া ও মঙ্গল কামনা করি। উনার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপ্রচার দেখছি তা অত্যান্ত নিন্দনীয় কাজ যা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম। আল্লাহ সিরাজ ভাইয়ের মঙ্গল করুন। 

 

 

বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আব্দুল মাবুদ জানান কাচালং সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এ বর্তমান সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ২০১৮ সালে উনার বিদ্যালয়টি সরকারি করণের আওতায় আসায় তিনি ২০১৮ সালে বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতির জন্য লিখিত আবেদন করলে ৩১ মার্চ ২০১৯ তারিখে এক সাধারণ সভায় সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে অব্যাহতির আবেদনটি গ্রহণ করে বিষদ আলোচনা পর্যালোচনা পূর্বক উনার মেধা, প্রজ্ঞা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রেসক্লাবের জন্য স্বতন্ত্র গঠনতন্ত্র, মনোগ্রাম প্রনোয়ন সহ ক্লাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য সর্বদা নিবেদিত থাকার করনে উনাকে সম্মাননা স্বরুপ উপদেষ্টা পদমর্যাদায় আমৃত্যু বা আজীবন সদস্য হিসেবে রাখার জন্য সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলো, এবং তখন থেকে তিনি ক্লাবের কোন নির্বাহী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং করছেন না, ক্লাবের জন্য দীর্ঘ সময় উনার অবদানকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ক্লাব কতৃক ধন্যবাদ পত্র প্রদান করা হয়, বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল প্রেসক্লাবের আভ্যন্তরীণ বিষয় ও সিরাজ সাহেবের ভাবমূর্তি বিনষ্ঠের লক্ষে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তমূলক ও আইন বহির্ভূত কাজ বলে আমি মনে করি এবং এহেন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

 

এডভোকেট হাসান আলীর সামাজিক কর্মকান্ড সম্পর্কে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে পুরাতন মারিশ্যা মাদ্রাসা ও সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, এডভোকেট হাসান আলী ৫ আগস্টের পর এলাকায় এসে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে বিশেষ করে পুরাতন মারিশ্যা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে এলাকার মধ্যে ব্যপক জটিলতা সৃষ্টি করেছে, সমাজে দ্বন্দ সৃষ্টি করা, মানুষকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে আসছে, আমাদের জানামতে সে জামাতের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছে এবং এলাকায় নিয়মিত জামাতের প্রভাব খাটাচ্ছে।

 

 

 

বাঘাইছড়ি উপজেলা জামাতের আমীর মাওলানা কবির আহমদ এর কাছে হাসান আলীর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন হাসান আলী বাঘাইছড়ি উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক কোন পোস্ট পদবীতে নেই, তিনি যা কিছু করছেন সম্পুর্ণ তার ব্যাক্তিগত ও সামাজিক বিষয় সেখানে জামাতের কোন সম্পৃক্ততা নেই, এবং তার অপকর্মের বিষয়ে ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। 

 

নিউজ পোর্টালে বিএনপির সাথে সিরাজুল ইসলাম এর সখ্যতার গড়ে তুলেছে উল্লেখ থাকায় এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিরাজ মাস্টার স্কুল শিক্ষক উনার সাথে বিএনপির দলীয় কোন সম্পর্ক থাকার সুযোগ নেই, সখ্যতার বিষয়টি ভিত্তিহীন।

 

 

 

মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের যে নোটিশ টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিরীন আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিরাজ সাহেবের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে যে অভিযোগ করা হয়েছে এই ধরনের কোন চিঠি বা নোটিশ আমি এখনো অফিসিয়ালি পাইনি। এবং এই বিষয়ে কোন তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। 

 

Nessun commento trovato