শিক্ষক আলিবুদ্দীনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

Abdur Rahman bd avatar   
Abdur Rahman bd
শিক্ষক আলিবুদ্দীনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ: শিক্ষা কি তবে আস্থাহীনতার চর্চা?..
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের দঃ শাহাজাতপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আলিবুদ্দীন মোড়ল, যিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৪ মে) মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে তিনি আগামী দিনের (২৫ মে, রোববার) হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করেন। অথচ ওই দিনের জন্য তিনি মাদ্রাসা সুপার মুফতি এম.এ. সালামের নিকট একটি ছুটির আবেদন করেন, যা পরে মঞ্জুরও করা হয়।
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আলিবুদ্দীন মোড়ল প্রথমে অগ্রিম স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে স্বীকার করে বলেন, “ভুলক্রমে সই করে ফেলেছি।”
 
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মুফতি এম.এ. সালাম বলেন, “আমার কাছে তিনি ছুটির দরখাস্ত দিয়েছেন এবং আমি তা মঞ্জুর করেছি। পরবর্তীতে তিনি হাজিরা খাতায় সই করেছেন কিনা, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না।”
 
এদিকে, শিক্ষক আলিবুদ্দীনের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয়রা জানান, এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো আমলে না নিয়ে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সার্টিফিকেটে সমস্যা থাকার কারণে তার বেতনও বন্ধ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। 
 
স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, “মাদ্রাসাটি তার বাড়ির সীমানার মধ্যে হওয়ায় তিনি ইচ্ছেমতো যাতায়াত করেন। এমন কাজ তিনি আগেও করেছেন; কিন্তু তা প্রকাশ পায় না। তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষক প্রতিনিধি হওয়ায় বারবার এমন নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে থাকেন।”
 
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল খায়ের বলেন, “অগ্রিম স্বাক্ষর করার কোনো নিয়ম নেই। মাদ্রাসা সুপার যদি এমন কোনো বিষয় অবগত হন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি অবগত রইলাম। সুপার ব্যবস্থা না নিলে আমরা শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেব।”
No se encontraron comentarios