close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
শিক্ষার্থীর ওপর শিবিরের হামলায় বৈষম্যবিরোধীদের কর্মসূচি: সিলেট এমসি কলেজে তীব্র প্রতিবাদ


ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি: সিলেট এমসি কলেজে শিবিরের হামলায় আহত শিক্ষার্থীর প্রতি সহানুভূতি জানাতে এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যেটি সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের জন্য গড়ে উঠেছিল এবং ২০১৮ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের ফেসবুক পেজে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স", এবং এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সকল শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেট এমসি কলেজে হামলার ঘটনা
গত বুধবার রাতে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়, যাকে শিবিরের সদস্যরা আক্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার ছাত্র মিজানুর রহমান রিয়াদ, এমসি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তালামীযে ইসলামিয়া সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকে একটি বিতর্কিত মন্তব্যের পর শিবিরের সদস্যরা তার ওপর হামলা চালায়।
মিজানুর রহমান রিয়াদ জানিয়েছেন, হামলাকারীদের তিনি আগে থেকেই চেনেন। তবে তালামীযে ইসলামিয়া এমসি কলেজ শাখার সভাপতি আলবাব হোসেন এই হামলার জন্য শিবিরকে দায়ী করেছেন এবং বলেন, "শিবির ক্যাম্পাসে ভিন্নমতের কোনো সংগঠনকে সহ্য করতে চায় না এবং তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তারা বেপরোয়া আচরণ করেছে।"
এদিকে, এমসি কলেজ শিবিরের সভাপতি ইসমাইল খান এ ঘটনার সাথে শিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "শিবিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করা হচ্ছে।"
ছাত্রদলের প্রতিক্রিয়া
এছাড়া, ছাত্রদলও এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের ফেসবুক পেজে প্রশ্ন তুলেছে, "ক্যাম্পাসে আবার রগকাটার রাজনীতি ফিরে এসেছে কিনা?" তাদের এই মন্তব্যটি শিবিরের কর্মকাণ্ডের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আগামী কর্মসূচি আরও তীব্র করার পরিকল্পনা করেছে। তাদের বক্তব্য, "শিক্ষাঙ্গনে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না।" আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, শিবিরের হামলার পর সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্র-শিক্ষক সমাজে উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। শিবিরের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
Ingen kommentarer fundet