close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে মা দ ক নয়—প্রশাসনের কড়া বার্তা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারপাশে মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাতে প্রশাসনের নির্দেশ। জনসম্পৃক্ত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা।..

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে মাদক বিক্রি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে এবার কঠোর বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে এবার মাঠে নামছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৯ম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা আসে। রবিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

নোটিশে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠানো নির্দেশনার মাধ্যমে মাদরাসা প্রধানদের স্পষ্টভাবে অনুরোধ করা হয়েছে—তারা যেন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন।

সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, তরুণদের মধ্যে মাদকের কুফল সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণাও চালাতে হবে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে শুধু আইন প্রয়োগই নয়, বরং জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠিত পরিচালনা কমিটিকে কার্যকর এবং দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশেষভাবে জুম্মার খুতবায় মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বার্তার বিরুদ্ধে কোরআন-হাদিসের আলোকে যুক্তিভিত্তিক পাল্টা প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হিযবুত তাহরীরের মতো সংগঠনের অপপ্রচার ঠেকাতে একাডেমিক কাউন্টারন্যারেটিভস গড়ে তুলতে হবে—এমন নির্দেশনাও আছে নোটিশে।

মাদরাসা বোর্ডের আওতাধীন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে সমাজের প্রতিটি স্তরে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিটি কার্যকর হয়।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার অধ্যক্ষ ছালেহ আহমাদ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, “মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের যে কঠোর মনোভাব, তা বাস্তবায়নের জন্য মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে মাদকের মতো ভয়াবহ ব্যাধির বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই ছাড়া বিকল্প নেই। প্রশাসনের এই নির্দেশনা শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, এটি একটি সামাজিক জাগরণ সৃষ্টির ডাকও বটে। এখন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবার, প্রশাসন এবং পুরো সমাজ একসাথে হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

No comments found